প্রতীকী ছবি
রাস্তার পাশে নয়ানজুলি লাগোয়া ঝোপ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। রবিবার সকালে বারুইপুর থানার আকনা কাটাখাল রোড এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। মৃতের নাম নুর হোসেন সর্দার (১৯)। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম বৈদ্যনাথ মণ্ডল, রাম মণ্ডল ও সমীর নস্কর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নুর দিনমজুরের কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি সোনারপুর থানার বিদ্যাধরপুর এলাকায়। বাড়িতে নুরের ছয় ভাই ও বৃদ্ধা মা রয়েছেন। শনিবার বিকেলে চার বন্ধু মোটরবাইক নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গে নুর বেরিয়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রের খবর। তিনি আর রাতে বাড়ি ফেরেননি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে ওই চার বন্ধুর মধ্যে দু’জন নুরের বাড়িতে গিয়ে জানান, বারুইপুরে গন্ডগোল হচ্ছে। সেখানে নুরকে মারধর করা হচ্ছে। তবে খবর পেয়ে নুরের পরিবারের কেউ বারুইপুরে আসেননি। ভোরে নুরের আর এক বন্ধু গিয়ে তাঁর দু’টি মোবাইল ফোন দিয়ে আসেন। পরিবার সূত্রের খবর, তিনিও জানান নুরকে মারধর করা হয়েছে।
রবিবার সকালে নুরের বিবাহিত দিদি শাহানারা বিবি ভাইয়ের বাড়ি না ফেরার খবর পেয়ে কাটাখাল এলাকায় যান। গিয়ে দেখেন, ভাইয়ের দেহ জঙ্গলের মধ্যে পড়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতের গলায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। হাতে-পায়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নুরের ওই চার বন্ধু স্থানীয় বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার ভোর থেকে তাঁদের মোবাইলও বন্ধ ছিল। সকালে তাঁদের বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বিকেলে নুরের বন্ধুদের খোঁজ মেলে। তাঁরা পুলিশকে জানান, শনিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে একটি দলের গোলমাল হয়। তখনই নুরকে মারধর করে অন্য দলের ছেলেরা। তাঁদের থেকে খোঁজ পেয়ে পুলিশ বৈদ্যনাথ, রাম ও সমীরকে গ্রেফতার করে। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, ‘‘ধৃতেরা খুন করেছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে।’’ কী কারণে দু’দলে গোলমাল হয়েছিল, তা দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy