অনিয়ম: বিজেপি-র বিক্ষোভ। রবিবার, বারাসতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
করোনার পরিবেশে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে জমায়েত করে বিতর্কে জড়াল বিজেপি। রবিবার এই কর্মসূচি উপলক্ষে বারাসত থানার সামনে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা ভিড় করেন। তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশ থাকলেও কার্যত কোনও ঝামেলা ছাড়াই শেষ হয় এই কর্মসূচি।
বিজেপির জেলা নেতৃত্বের এ দিনের আন্দোলনের পদ্ধতিতে কৌতুহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নিজেদের নেতাদের বাদ দিয়ে গাঁধী-নেহরুর আন্দোলন পদ্ধতি এবং বিবেকানন্দের বাণীর প্রসঙ্গই উঠে এল বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় নেতৃত্বের। তাঁদের দাবি, অহিংসাই আপাতত তাঁদের পথ। যেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরাবর জওহরলাল নেহরুর উদ্দেশে তোপ দেগে থাকেন। সেখানে সেই দলেরই এমন মনোভাবে ধন্দ জাগছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও।
পুলিশি জুলুম, বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো-সহ একাধিক অভিযোগে এ দিনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। আগের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে পুলিশও তিন স্তরের ব্যারিকেড তৈরি করে। শুরু করার কিছু ক্ষণ পরেই মিছিল হরিতলা মোড়ে আসতেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিন্তু বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেননি। সেখানেই থমকে যায় মিছিল। কর্মসূচির ইতি টেনে পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়। দশ মিনিটেই মিটে যায় আন্দোলন কর্মসূচি।
স্মারকলিপি জমা দিয়ে শঙ্কর বলেন, “এটা গাঁধী নেহরু ও বিবেকানন্দের দেশ। অহিংস আন্দোলন করছি আমরা। কারণ, ভারতের মাটি অহিংসার মাটি।” কিন্তু তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কিংবা মোদী, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষের নাম করেননি। দূরত্ব-বিধি না-মানার অভিযোগ এনে সরব হয়েছে তৃণমূল। বারাসত পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই সময়ে জমায়েত অন্যায়। বিজেপি সংক্রমণ বাড়াতে মরিয়া।” যদিও একাধিক বার দূরত্ব-বিধি ভাঙার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেও উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy