গ্রেফতার এক মহিলা-সহ পাঁচ জন। নিজস্ব চিত্র।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বসে রমরমিয়ে চলছিল প্রতারণা চক্র। এখান থেকেই প্রতারিত হচ্ছিলেন মার্কিন নাগরিকরা। সেই চক্র ফাঁস করল বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ পাঁচ জনকে। তারা প্রত্যেকেই ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা।
বিধাননগর পুলিশের ডিসি কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘ধৃতেরা সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বেআইনি ভাবে একটি আন্তর্জাতিক কল সেন্টার চালাচ্ছিল। সেখান থেকেই ওই প্রতারণা চক্র চলছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই কল সেন্টার থেকে নিজেদের ‘ট্যাক্স কনসালটান্ট’ বলে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করা হত মার্কিন নাগরিকদের। তাঁদের কর সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া বা কর সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার নামে মোটা টাকা নিত ওই প্রতারকরা। এ ভাবে গত এক বছরে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ।
কুণাল জানান, গত বছরের শেষ দিকে প্রথম তাঁরা অভিযোগ পান। সেই সময় থেকে তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম শাখার তদন্তকারীরা। কিন্তু কোনও ভাবেই হদিশ মিলছিল না মূল চক্রের। শেষ পর্যন্ত হদিশ মেলে দলের পাণ্ডা মুম্বইয়ের বাসিন্দা ২৫ বছরের তৌহিদ ওয়াহিদ খানের। চেম্বুরের বাসিন্দা তৌহিদ ওই কল সেন্টারটি তৈরি করে এবং সেই প্রতারণা চক্রের মূল মাথা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেকবাগানের একটি হোটেল থেকে তাকে পাকড়াও করার পর তাকে জেরা করে হদিশ মেলে দলের বাকি সদস্যদের। এদের মধ্যে রয়েছে আমদাবাদের প্যাটেল রিচেশ, মুম্বইয়ের কল্যাণের জিনাত রবিন জোসেফ, দিল্লির সঞ্জয় ভূপতি এবং চেম্বুরের আশরফ গনি।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত জম্মু-কাশ্মীরের আল-কায়দা শাখার প্রধান
আরও পড়ুন: কমলেশ খুনে গুজরাত-রাজস্থান সীমানা থেকে গ্রেফতার আরও ২
ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে সেক্টর ফাইভের ইএন ব্লকের ৬৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে একাধিক মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক, মার্কিন নাগরিকদের ডেটাবেস এবং উত্তর আমেরিকার ভিওআইপি নম্বর ব্যবহার করার বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy