প্রতীকী ছবি।
সরকারি মাতৃসদনে অর্থের বিনিময়ে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। এমন খবর জানাজানি হতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল বিধাননগর পুর এলাকায়। তবে শনিবার বিকেলে বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, মাতৃসদন থেকে বিনামূল্যেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভা পরিচালিত তিনটি মাতৃসদনে প্রতিষেধকের জন্য ২৫০ টাকা দিতে হচ্ছে বলে খবর ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে যদি বিনামূল্যে প্রতিষেধক মেলে, তা হলে ওই তিন মাতৃসদনে টাকা দিতে হবে কেন? তাঁরা জানান, বিধাননগর পুর এলাকার একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন ওঠে, মাতৃসদনের জন্য আলাদা নিয়ম কী ভাবে চালু হল?
এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। কংগ্রেস নেতা সোমেশ্বর বাগুইয়ের প্রশ্ন, বিধাননগর পুরসভা কি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান? এলাকার বিজেপি নেতা অশেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায়ের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি জানান, পুর এলাকার ছ’টি আর্বান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বাসিন্দাদের সুবিধার্থে টাকার বিনিময়ে দ্রুত প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুসুম অধিকারী জানান, মাতৃসদন থেকে অর্থের বিনিময়ে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, বিভ্রান্তি দূর করতে উদ্যোগী হন খোদ প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন। এ নিয়ে শনিবার তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। এর পরে রাতে কৃষ্ণা বলেন, ‘‘পুরসভার মাতৃসদন থেকে বিনামূল্যেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। মানুষকে পরিষেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy