প্রতীকী ছবি।
ভবানীপুরে জোড়া খুনের সপ্তাহ দেড়েক পরেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারল না কলকাতা পুলিশ। ওই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হলেও ওই ব্যক্তির অবস্থান নিয়ে তদন্তকারীরা ধোঁয়াশায়। ভিন্ রাজ্যে পুলিশের একাধিক দল গেলেও কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। অথচ, খুনের পরদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুলিশ ৯৯ শতাংশ তদন্ত গুটিয়ে এনেছে। তার পরে পাঁচ জন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত কোথায়? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
পুলিশের দাবি, নজর এড়াতে প্রথম থেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না মূল অভিযুক্ত। যাতে এটিএম-ও ব্যবহার করতে না হয়, তার জন্য পালানোর সময়ে সে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার পরদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই ব্যক্তি ভিন্ রাজ্যের বাসেও ওঠে।
তবে ভিন্ রাজ্যের বাসে উঠলেও আদৌ সে রাজ্য ছেড়েছিল কি না, তা নিয়ে এখন সন্দিহান তদন্তকারীরাই। হাওড়া থেকে যে যে রাজ্যের বাস ছাড়ে, সেই সব রাজ্যে দল পাঠানো হলেও শাহ পরিবারের ‘পরিচিত’ ওই ব্যক্তির কোনও হদিস মেলেনি।তদন্তকারীরা এখন মনে করছেন, পুলিশের নজর এড়াতে মাঝপথে নেমে গিয়ে এ রাজ্যেই কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে সে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, মূল অভিযুক্তের ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে! বেশি দিন এ ভাবে পালিয়ে থাকতে পারবে না সে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের তেতলা বাড়ির একতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় অশোক শাহ এবং রশ্মিতাশাহের রক্তাক্ত দেহ। ওই দিন দুপুর থেকে কাউকে ফোনে না পেয়ে সন্ধ্যায় ঘরে গিয়ে বাবা-মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁদের ছোট মেয়ে। রশ্মিতার মাথার পিছনে গুলির ক্ষত মেলে। অশোকবাবুর শরীরের একাধিক জায়গায় ছিলআঘাত। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ধার নেওয়া এক লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়াতেই খুন হতে হয়েছে তাঁদের। মূল অভিযুক্ত অশোকবাবুরপরিবারের পরিচিত বলেও তদন্তে উঠে আসে।
তদন্তে নেমে একে একে সুবোধকুমার সিংহ, যতীন মেহতা, রত্নাকর নাথ, সন্তোষকুমার পতি এবং বিশাল অরোরা নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বললেন, ‘‘এই ঘটনার তদন্তে একাধিক দল গঠন করে কাজ হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত কোথায় পালিয়ে থাকতে পারে, সব দিক দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে ধরতে প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy