মিলে গেল মেলায়। ৯০ ছুঁই ছুঁই তরুণ কণ্ঠ দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, ৮৫-র চিরসবুজ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়েরা তো ছিলেনই। শোনা গেল বাংলা গানের তরুণতম শিল্পীদেরও। বুধবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে বাংলা সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনী আসরে মিলে গেল শিল্পীদের পাঁচটি প্রজন্ম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ‘‘এই মেলা সঙ্গীতের বিরাট পরিবারকে নিয়েই!’’ দেখা গেল, সম্মান প্রাপক থেকে শিল্পী তালিকা— সবেতেই বাংলা গানের সব ক’টি ধারা ও বাজনার বহুমাত্রিক ব্যাপ্তিকে ধরার চেষ্টা হয়েছে। ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ পেয়েছেন ধ্রুপদী কণ্ঠশিল্পী অমিয়রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, সেতারশিল্পী মণিলাল নাগ, বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়েরা। ‘সঙ্গীত-সম্মাননা’য় সিনেমার সঙ্গীত-পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, আধুনিক গানের শম্পা কুণ্ডু, কীর্তনের সুমন ভট্টাচার্য, অদিতি মুন্সীদের সঙ্গে গিটারের বুদ্ধদেব গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীখোলের হরেকৃষ্ণ হালদার, তবলার দীপঙ্কর আচার্যেরা মিলে গিয়েছেন। নেপালি গানের কর্ম ইওনজোন, ঝুমুরের পানমণি বেসরা, ভাওয়াইয়ার আয়েশা সরকারেরাও ধরা পড়েছেন এক বন্ধনীতে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, শহরে নানা প্রান্তে সাত দিনের মেলায় থাকবেন ১৮০০ কণ্ঠশিল্পী ও ৩০০ জন যন্ত্রশিল্পী। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু একটি সঙ্গীত মেলা নয়, সারা বছরই শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ৮০ হাজার শিল্পীর তথ্যভাণ্ডার তৈরি। বছরভর তাঁরা কাজ পাচ্ছেন।’’ কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে প্রচারে গ্রামীণ শিল্পীদের গান বাঁধার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ দিন দ্বিজেন-সন্ধ্যাদের সঙ্গে ছিলেন মুম্বই থেকে আসা ঘরের ছেলে কুমার শানু, শান্তনু মৈত্রেরাও। মমতার নাছোড় অনুরোধে ‘গলা ঠিক নেই’ বলে কাতর আপত্তি জানিয়েও সন্ধ্যা গেয়ে ওঠেন, ‘কী মিষ্টি, কী মিষ্টি, কী মিষ্টি এ সকাল’! সেই শুরু। বৃন্দগানে নেতৃত্ব দেন দ্বিজেনবাবু। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীরাধা, সৌমিত্র, সুরজিৎ, জোজো, নূপুরছন্দা, ঋদ্ধি থেকে তরুণতর পর্ণাভ, অদিতি, আইরিনরাও গলা মেলালেন। সলিল চৌধুরী, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রগানে জমে উঠল আসর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy