রাজীব কুমার এবং ললিতা সাউ। —নিজস্ব চিত্র।
বাঁশদ্রোণীতে ঠিকাদার মুকেশ সাউকে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়! মুকেশকে খুনের অভিযোগে তাঁর ভাই সঞ্জয় সাউয়ের স্ত্রী ললিতা সাউকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ললিতার পাশাপাশি তাঁর ‘প্রেমিক’ রাজীব কুমারকেও পাকড়াও করা হয়েছে। অভিযোগ, দু’জনে মিলে এই খুনের ছক কষেছিলেন। যদিও মুকেশকে কে খুন করেছেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। সোমবার তাঁদের দু’জনকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা বছর চব্বিশের রাজীবের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ছাব্বিশ বছরের ললিতা। রবিবার রাজীবকে বিহারের বাঁকা জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ললিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পারেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। এর পর ললিতাকেও জেরা করেন তাঁরা। তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন ললিতা। এর পর সোমবার সকালে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কে রক্তাক্ত অবস্থায় মুকেশ (৪৩)-কে উদ্ধার করা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মুকেশের ঘাড় ও ডান হাত-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানোর চিহ্ন ছিল।তাঁর ডান হাতে রক্তমাখা একটি ছুরি ধরা ছিল।
প্রসঙ্গত, সোনালি পার্কে ওই বাড়িতে মুকেশ এবং সঞ্জয় দু’ভাই তাঁদের পরিবার নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। এই ঘটনায় সঞ্জয়কে আটক করেছিল পুলিশ।
পুলিশের দাবি, রাজীবের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার পর থেকে ললিতাকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন মুকেশ। তদন্তকারীদের কাছে এমন দাবি করেছেন রাজীব। ৭ ডিসেম্বর ঘটনার দিন সোনালি পার্কের বাড়িতে রাজীবকে ডেকে আনেন ললিতাই। এর পর সেখানে বসে মুকেশকে খুনের পরিকল্পনা করেন দু’জনে। তবে মুকেশকে কে খুন করেছেন, তা খোলসা করেননি তদন্তকারীরা। এই খুনের মামলায় রাজীব এবং ললিতা, দু’জনেরই বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy