তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল। ছবি: সংগৃহীত।
বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয়ের নাম ঘোষণার পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে বাবুল বলেন, ‘‘আমি প্রত্যেকের সঙ্গেই ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করে কথা বলব। দেবাশিসদা (রাসবিহারী তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার) পরিকল্পনা করছেন।’’ তৃণমূলের একাংশ যে তাঁর বিরোধিতা করছেন, তার পিছনে তিনি কোনও অন্যায় দেখছেন না বলেও দাবি করেন বাবুল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদেরকেও (যাঁরা বাবুলের বিরোধিতা করছেন) মনে রাখতে হবে, আমি ব্যক্তিগত বাবুল সুপ্রিয় লড়ছি না। আমি দিদির প্রতিনিধি হিসেবে লড়ছি।’’ তৃণমূলের ওই অংশের ‘ন্যায্য প্রশ্নগুলির’ উত্তর দিতে তিনি তৈরি বলেও জানান বাবুল।
এ বার কি তৃণমূল তাঁকে পুরনো কেন্দ্র আসানসোলে প্রার্থী করলে বেশি ভাল হত? বাবুলের জবাব, ‘‘দিদির যা ইচ্ছা, সেটাই আমার কাছে নির্দেশ।’’ সেই সঙ্গে আসানসোলে অভিনেতা তথা বিজেপি-র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রঘ্ন সিন্হাকে তৃণমূল প্রার্থী করায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত বলেও দাবি করেন বাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘গতকালও আমার সঙ্গে শত্রুঘ্ন সিন্হার কথা হয়েছে।’’
সোমবার সকালেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বালিগঞ্জে দেওয়াল লিখন শুরু করেন বাবুল। সেখানে তাঁর তৃণমূল প্রার্থীপদ ঘোষণার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ সম্পর্কে বাবুলের মন্তব্য, ‘‘যদি পরের বার উনি খড়্গপুরের মানুষের সমর্থন নিয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতে পারেন, তবে না হয় ওই প্রসঙ্গে বলব।’’
প্রসঙ্গত, গত বছর বিধানসভা ভোটের পর মন্ত্রিসভার রদবদলে বাবুলকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পরেই ফেসবুকে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দেন তিনি। ১৮ সেপ্টেম্বর বাবুল যোগ দেন তৃণমূলে। পদত্যাগ করেন সাংসদ পদ থেকে। সেই কারণেই আসানসোল লোকসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে, গত ৪ নভেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy