প্রতীকী ছবি।
নিজের দিদি সম্পর্কে পাড়ার দিদিমার থেকে তির্যক মন্তব্য শুনে প্রতিবাদ করায় জুটেছিল খুন্তির মার। পাল্টা হিসাবে পকেট থেকে আম কাটার ছুরি বার করে বৃদ্ধাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে কিশোরটি। তখনই যে কোনও ভাবে হোক, ছুরির ফলা লেগে বৃদ্ধার গলা কেটে যায়। তার কিছু ক্ষণ বাদেই প্রায় বাড়ির দরজার সামনে পড়ে মৃত্যু হয় অর্জুনপুরের বাসিন্দা বৃদ্ধার।
গত বুধবার বাগুইআটির অর্জুনপুরে এক কিশোরের ছুরির আঘাতে বৃদ্ধা সরস্বতী সরকারের (৭০) মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার কথা স্বীকার করলেও শুরুতে খুনের কারণ নিয়ে ওই কিশোর মুখ খুলতে চাইছিল না। শেষে ছেলেটির মা-বাবাকে সামনে বসিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। এক সময়ে ওই কিশোর কাঁদতে কাঁদতে পুরো ঘটনা খুলে বলে।
পুলিশ সূত্রের খবর, আগে দমদমের গোরক্ষবাসী এলাকায় সরস্বতীদেবী এবং ওই কিশোরের পরিবার পাশাপাশি থাকত। তখন থেকেই তাঁদের মধ্যে পরিচয়। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত কিশোর জেরায় জানিয়েছে, তার দিদিকে প্রেমিকের সঙ্গে বাইকে চেপে ঘুরতে দেখে সরস্বতীদেবী সেই সম্পর্কে তির্যক মন্তব্য করেন। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘বৃদ্ধা ওই কিশোরকে বলেন, তার দিদি যেন বাইকে চেপে যাওয়ার সময়ে ঠিক মতো সামলে বসে। না হলে পড়ে মরে যাবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, এই কথা শুনে কিশোরটি বৃদ্ধাকে পাল্টা বলে, তার দিদি কেন মরে যাবে? বরং তিনিই আগে মারা যাবেন। তখন সরস্বতীদেবী উত্তেজিত হয়ে খুন্তি দিয়ে ছেলেটিকে মারেন। তাতেই তার হাতে আঘাত লাগে।
জানা গিয়েছে, এই ভাবে শুরু হওয়া বচসা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। পুলিশের দাবি, ওই সন্ধ্যায় খেলাধুলো করে ফেরার পরে গাছ থেকে আম পাড়ার জন্য কিশোরটি পকেটে একটি ছুরি নিয়ে
বেরিয়েছিল। বৃদ্ধা ফের তাকে মারতে যাচ্ছেন দেখে সে ওই ছুরিটি বার করে বৃদ্ধাকে ভয় দেখাতে যায়। তদন্তকারীদের ধারণা, তখনই কোনও ভাবে ছুরির ফলা বৃদ্ধার গলায় লেগে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। যার জেরে মারা যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy