লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আগেই। কিন্তু শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় পুলিশ এত দিন ছুঁতে পারেনি তাঁকে। সেই বাবাইকে গ্রেফতারের পরে এ বার তাঁর বিরুদ্ধে থাকা পুরনো মামলাগুলি নতুন করে চালু করতে চাইছে পুলিশ। শনিবার তেমনই এক মামলায় বাবাইকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ। যদিও খুনের যে মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বাবাই গ্রেফতার হয়েছেন, সেটিতে শনিবার বাবাইকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে বারাসত মহকুমা আদালত।
বিধাননগর কমিশনারেটর আধিকারিকেরা জানান, জগৎপুরের তৃণমূলকর্মী সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়োর খুনের মামলায় ফেরার থাকার সময়েই পুলিশ ওই ঘটনার চার্জশিট দেয়। তার পরে বাবাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। ফলে ওই মামলায় বাবাইকে আদালত পুলিশি হেফাজত দেয়নি। তবে ২০১৩-এ পুলিশকে মেরে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাবাইকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় জগৎপুরেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিলেন কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। সেই আসামিকে নিয়ে ফেরার পথে গোয়েন্দা বিভাগের গাড়ি ঘিরে ফেলেন বাবাই ও তাঁর লোকজন। গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসারকে বেধড়ক মারধর করে বাবাইরা ওই আসামিকে পুলিশের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই বাবাইকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
বাবাইয়ের বাবা বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ দিন দাবি করেন, তাঁর ছেলে চক্রান্তের শিকার। বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পারিষদ (জল) বীরেন্দ্রনাথবাবুর কথায়, ‘‘আমিও চাই ঘটনার তদন্ত হোক। একটা ঘটনায় হঠাৎ করে ছেলের নাম জুড়ে দিল পুলিশ। কেন, সেটা সামনে আসা দরকার।’’ কিন্তু তাঁর ছেলেই তো বুড়োর খুনিদের পাঁচ লক্ষ টাকায় ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে? উত্তরে বীরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে গত আড়াই মাস ধরে ছেলের কোনও যোগাযোগ নেই। বাবাই এলাকার বড় নেতা ছিল। তাই সব কিছুতেই ওর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি তো বারবারই বলছি, তদন্ত হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy