প্রয়াত জ্যোতির্বিজ্ঞান সাধক সৌমেন মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চাকে নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন তিনি। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে নীরবে এবং নিরলস ভাবে সাধারণের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে গিয়েছেন। লিখেছিলেন জ্যোতিবির্জ্ঞান চর্চা সংক্রান্ত একাধিক বইও। শহরের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রণী সংগঠন ‘স্কাই ওয়াচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সেই জ্যোতির্বিজ্ঞান সাধক সৌমেন মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টা ১২মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
টেলিস্কোপ নির্মাণে ও নিখুঁত আকাশ পর্যবেক্ষণে অভিজ্ঞ, অকৃতদার এই মানুষটি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ প্রশিক্ষক। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হোক, অথবা বৃহস্পতি গ্রহের ওপর টুকরো টুকরো হয়ে শুমেকার-লেভি ধূমকেতুর পতন কিংবা সূর্যের বুকে শুক্র অথবা বুধের সঞ্চরণের মতো বিরল মহাজাগতিক ঘটনা— তিনি মাঠে-ময়দানে, মহানগরীর চত্বরে দূরবিন ও তাঁরই প্রশিক্ষিত উৎসাহীদের নিয়ে হাজির হতেন জনতার মাঝখানে। নম্রভাষী, বিনয়ী অথচ স্পষ্ট বক্তা।
জনবিজ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে সকলের পক্ষে বোধগম্য ভাষায়, অল্প কিন্তু সঠিক বক্তব্যে বিশ্বাসী ছিলেন সৌমেন মুখোপাধ্যায়। তাঁর লেখা ‘এক আকাশ তারা’, ‘আকাশ চেনার হাতেখড়ি’ ( খালি চোখে ও বাইনোকুলারে), ‘আকাশ দেখা’ (টেলিস্কোপে), ‘ক্যালেন্ডার কথা’ ইত্যাদি গ্রন্থগুলিই তার প্রমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy