—প্রতীকী চিত্র।
ময়দান বা সেই সংলগ্ন এলাকায় পার্কিংয়ের স্থায়ী বন্দোবস্ত হলে তা শহরের সবুজে ভাগ বসাবে। তা ছাড়াও রাজনৈতিক, ধর্মীয়-সহ নানা জমায়েতে ময়দানে নির্বিচারে গাড়ি রাখা হয়। সেই সব যান থেকে বেরোনো ধোঁয়াও অনেকটাই বেশি। প্রতিদিন ময়দানে জড়ো হওয়া মানুষের স্বাস্থ্যে সেই ধোঁয়া-দূষণের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা হওয়া দরকার। যে ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, গাড়ির ধোঁয়া ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাঠামোর কতটা ক্ষতি করছে। ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার হলফনামা জমা দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টকে এমনটাই জানাল সেনা।
প্রসঙ্গত, ময়দান এলাকা সেনাবাহিনীর অধীনে। সেনাবাহিনী হলফনামায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছে। তারা জানিয়েছে, কখনও বেসরকারি সংস্থা, কখনও খেলার ক্লাবের তরফে ময়দানে পার্কিংয়ের আবেদন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যা উদ্বেগজনক। প্রসঙ্গত, এ রকম আবেদন ঘিরে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন।
মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, ময়দানের সবুজ রক্ষার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর বক্তব্য ইতিবাচক। এই বিষয়টা বাস্তবে কার্যকর করতে পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে বিকল্প কী ব্যবস্থা করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এর আগেও হাই কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য তা শোনেনি।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের বিকল্প স্থান নিয়ে চলতি মাসেই রাজ্য পরিবহণ দফতর, রাজ্য পরিবহণ নিগম, রাজ্য পূর্ত দফতর, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড ও রাইটস-এর কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই ধর্মতলার পরিবর্তে শহরের অন্যত্র বাস পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা নিয়ে রূপরেখা তৈরির বিষয়টি ওঠে। কারণ, এতে যানজট ও দূষণ কমার পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ডের বিকেন্দ্রীকরণ ঘটলে নাগরিকেরাও লাভবান হবেন বলে মনে করছেন কর্তারা।
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের বিকল্প পার্কিংয়ের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করতে বলা হয়েছে রাইটসকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy