Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Anubrata Mondal

‘কোনওটাতেই অন্যায় করি নাই, সবেতেই বেকসুর খালাস হব’, আদালত থেকে বেরিয়ে বললেন আত্মবিশ্বাসী কেষ্ট

শুক্রবার মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েই কেষ্টর দাবি, তিনি কোথাও কোনও অন্যায় করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘একটাই কথা বলি। আমি কোনও অন্যায় করি নাই।’’

অনুব্রতের দাবি, গরু পাচার মামলাতেও নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

অনুব্রতের দাবি, গরু পাচার মামলাতেও নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫০
Share: Save:

গরু পাচার হোক কিংবা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা— সব মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পাবেন। শুক্রবার মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

চুলে কলপ হয়নি। সাদা চুল, হলুদ পাঞ্জাবিতে কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল অনুব্রতকে। কথা বলতে গিয়ে শ্বাসের সমস্যাও বোঝা যাচ্ছে। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পর আত্মবিশ্বাস যেন চুঁইয়ে পড়ছে গত কয়েক দিনে প্রায় চুপ হয়ে যায়য়া বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। শুক্রবার মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েই কেষ্টর দাবি, তিনি কোথাও কোনও অন্যায় করেননি।

অনুব্রতের কথায়, ‘‘একটাই কথা বলি। আমি কোনও অন্যায় করি নাই। আজ বেকসুর খালাস হলাম। সবেতেই বেকসুর খালাস হব।’’ গরু পাচার মামলাতেও তাই হবে? প্রশ্ন করতেই অনুব্রত সায় দিয়ে জানালেন, সবেতেই নির্দোষ প্রমাণিত হবেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছরের পুরনো মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে মুক্তি দিয়েছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। এই মামলায় অনুব্রত-সহ ১৪ জন অভিযুক্তকে তথ্যপ্রমাণের অভাবে ‘বেকসুর খালাস’ ঘোষণা করেছে। বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকার মল্লিকপুর একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েক জন জখম হয়েছিলেন। তার মধ্যে দু’জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন অনুব্রত এবং কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ-সহ ১৫ জন। মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।

ওই মামলায় বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতে পেশ করার জন্য শুক্রবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় আনা হয় অনুব্রতকে। বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন তিনি। আবার স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে চোখাচোখা মন্তব্য করেন। বলেন, ‘জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চয়ই ছাড়া পাব, ছাড়া পেলে যাব। এ আর বলার কী আছে।’’ গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘জেলে তো কেউ সারা জীবন থাকে না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE