ছবি: সংগৃহীত
শরীরের অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগ করে সুস্থ করে তোলা হয়েছিল আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সেই পদ্ধতিতেই এ বার করোনা চিকিৎসা হচ্ছে কলকাতাতেও। তাতে ভাল সুফলও পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বেহালার নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের দু’জন কোভিড রোগীকে অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগ করেই সুস্থ করে তোলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধা, অন্যজন ৫৪ বছরের এক প্রৌঢ়, জানিয়েছেন চিকিৎসক ধ্রুব ভট্টাচার্য। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেন, সাধারণত অতিসঙ্কটজনক রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে মৃত্যু সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
কী এই অ্যান্টিবডি ককটেল?
ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব ওষুধ দিয়ে তৈরি হয় এই ককটেল। ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব হল ইমিউনোগ্লোবিন জি-১ মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিজ। শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার উপকরণ যোগায় এই সংমিশ্রন। এই ককটেল মূলত করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকেই নিশানা কোষে ঢুকতে বাধা দেয়।
কোন রোগীকে অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া যাবে?
- হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গের কোভিড রোগী
- অক্সিজেন সাপোর্টে নেই অথচ অক্সিজেন দরকার, এমন রোগী।
- যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে।
- যাঁদের বয়স ১২ বছরের বেশি এবং ওজন ৪০ কেজির বেশি, এমন যে কোনও ব্যক্তিকেই এই ককটেল দেওয়া যাবে। তবে বেশি বয়সিদের শরীরেই থেরাপি প্রয়োগ করার উচিত বলে জানান ধ্রুব ভট্টাচার্য।
চিকিৎসার পদ্ধতি
ইনফিউশন পাম্প বা স্যালাইনের বোতলে ৬০০ মিলিগ্রাম করে ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব মিশিয়ে রোগীকে দেওয়া হয়। ওই সংমিশ্রণ সাধারণত ২-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হয়। ঘণ্টাখানেক চলে এই থেরাপি। তার পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় রোগীকে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সাধারণত অ্যালার্জি সমস্যা হয় রোগীর শরীরে।
খরচ
অ্যান্টিবডি ককটেলের থেরাপিতে একটি ইঞ্জেকশনের খরচ ৬০ হাজার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy