প্রতীকী ছবি।
দিঘা যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকতলা থানার পুলিশ সল্টলেকের সেক্টর-২ এলাকার ওই বাড়িটির আশপাশে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ওত পেতে বসেছিল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোনোর মুখেই মানিকতলার গণপিটুনির ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত দিব্যেন্দু মল্লিকচৌধুরীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল মোট চার জনকে। অন্যতম অভিযুক্ত দীপ সরকার নামে এক যুবক এখনও অধরা। সোমবার দিব্যেন্দুকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তাকে ২০ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তদন্তকারীরা জানান, দীপের মোটরবাইকে চাপিয়ে রতনকে তুলে আনা হয়েছিল। দিব্যেন্দুই বাইকে রতনকে চেপে ধরে বসিয়ে রাখে।
গত বুধবার মানিকতলায় হরিশ নিয়োগী রোডে একটি পরিত্যক্ত পাম্পিং স্টেশনের ঘরে রতন কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, ওই ঘরটি বর্তমানে ক্লাব হিসাবে ব্যবহার করতেন কয়েক জন যুবক। সেখানেই রতনকে তুলে নিয়ে এসে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে রতনের মৃত্যু হলে ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। ওই দিনেই তাপস সাহা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার হয় এই ঘটনার দুই অভিযুক্ত সুরজিৎ কুন্ডু ও সৌমেন সরকার। তাদের গ্রেফতার করে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই সল্টলেকের সেক্টর-২ তে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় দিব্যেন্দু।
তাকে জেরা করে পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, ঘটনার দিন খন্নার হাট থেকে রতনকে মোটরবাইকে তুলে এনেছিল পেশায় ব্যবসায়ী দিব্যেন্দু। ওই মোটরবাইকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, গত বুধবার ঘটনার পর থেকেই দিব্যেন্দু সল্টলেকের সেক্টর-২ এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল। রবিবার রাতেই দিঘা পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। ধৃতের সল্টলেক সেক্টর-২তে একটি হোটেল রয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জেনেছে, তার সঙ্গে রতনের আগেও পরিচয় ছিল। মানিকতলা থানার এক আধিকারিক জানান, ধৃতদের এখন মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। ঘটনার দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy