—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে চালু থাকলেও সে ভাবে প্রচলিত নয় পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিস। এ বার হেমো ডায়ালিসিসের পাশাপাশি সেটিকেও বেশি মাত্রায় সামনে আনতে তৎপর হল স্বাস্থ্য দফতর। ডায়ালিসিস নিয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিকেও তাতে নজর দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তাতে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ডায়ালিসিস প্রোগ্রাম’ এবং তার সঙ্গে পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিসকেও বাস্তবায়িত করার নির্দেশ রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে পিপিপি মডেলে ডায়ালিসিস কেন্দ্র রয়েছে ৩৪টি। কিন্তু সর্বত্র পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিস হয় না। যদিও কিডনির অসুখে আক্রান্ত শিশুদের ৮০ শতাংশের এই পরিষেবা প্রয়োজন। আবার, যে প্রবীণ নাগরিকদের শিরা খুঁজে না পাওয়ায় ফিশচুলা করা সম্ভব হয় না, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি খুব জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য তথা এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজির বিভাগীয় প্রধান পিনাকী মুখোপাধ্যায়ের। এন আর এস, কলকাতা মেডিক্যাল, এসএসকেএম এবং বেসরকারি স্তরে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থে এই পরিষেবা রয়েছে। পিনাকীর কথায়, ‘‘পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিস নিয়ে ৩৪টি কেন্দ্রের সকলের প্রশিক্ষণ চলছে।’’
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিসে রক্তের প্রয়োজন হয় না। বিশেষজ্ঞ কমিটিতে পিনাকী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও আছেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, কলকাতা মেডিক্যালের পেডিয়াট্রিক ডায়ালিসিসের ইন-চার্জ দিব্যেন্দু রায়চৌধুরী, শিশুরোগ চিকিৎসক মিহির সরকার, এন আর এসের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজির চিকিৎসক বিশ্বনাথ বসু, এসএসকেএমের নেফ্রোলজির বিভাগীয় প্রধান সঞ্জয় দাশগুপ্ত-সহ আরও কয়েক জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য আধিকারিক মিলিয়ে মোট ১৮ জন।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই পরিষেবা গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও সম্ভব। তাতে সাপে কাটা রোগী জেলা বা মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছনোর আগেই তাঁর চিকিৎসা শুরু করা যায়। এতে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু কমবে। তাই প্রতি জেলায় এক জন করে মেন্টর চিহ্নিত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy