বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
পুর পরিষেবার, বিশেষত রাস্তা সারাইয়ের কাজ করেও বকেয়া না পাওয়ার অভিযোগ বিধাননগর পুরসভার ঠিকাদারেরা অনেক দিন ধরেই করছেন। এ বার পুর প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, দরপত্রে একের পর এক ডাক পড়লেও ঠিকাদারেরা তাতে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পুর পরিষেবা। এর বিকল্প হিসাবে পুর এলাকার কাজ কেএমডিএ কিংবা পূর্ত দফতরকে দিয়ে করানো যায় কি না, তা নিয়ে বুধবার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে
প্রস্তাব উঠল।
ওই প্রস্তাব দেন এক পুর প্রতিনিধি। যদিও বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, এখনও এতটা কঠিন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর সময় আসেনি। পুরসভা ২০২০ এবং ২০২১-এর টাকা ঠিকাদারদের দেওয়া শুরু করেছে। মেয়র বলেন, ‘‘ওই ঠিকাদারেরা পুরসভা থেকেই তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। মানুষ পরিষেবা পান। আমরা চাই না, এই সম্পর্ক নষ্ট হোক। এটাও ঠিক, দিনের পর দিন কাজ বন্ধ হয়ে থাকলে বিকল্প পথের কথা ভাবতেই হবে।’’
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিধাননগরের একাধিক রাস্তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে নতুন রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত সল্টলেক-সহ বিধাননগর পুর এলাকার রাস্তার হাল ফেরেনি। এর নেপথ্যে রয়েছে রাস্তা তৈরির কাজে ঠিকাদারদের দরপত্রে অংশ না নেওয়া। তাঁরা বার বারই জানিয়েছেন, বকেয়া না পেলে তাঁরা নতুন কাজে হাত দেওয়ার
পরিস্থিতিতে নেই। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে তাঁরা ১২৫ কোটি টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। ওই বিপুল অঙ্ক নগরোন্নয়ন দফতর মঞ্জুর করেনি। নগরোন্নয়ন দফতরের পরামর্শ, ছোট ছোট অঙ্কের খরচ দেওয়া হবে। বর্তমানে সেই পদ্ধতিতেই সরকারের থেকে রাস্তা সারাইয়ের জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy