Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Pistol

ভুয়ো লাইসেন্স দিয়ে পিস্তল কেনার অভিযোগ

পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরির এক ওয়ার্কার্স ম্যানেজার চিৎপুর থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জালিয়াতি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৩:২৫
Share: Save:

লাইসেন্স জমা দিয়ে কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি থেকে একটি পিস্তল কিনেছিলেন বিহারের এক ব্যক্তি। অস্ত্র কারখানার তরফে নিয়ম মেনে অনলাইনে ওই লাইসেন্স খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। লকডাউন খোলার পরে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, বাস্তবে ওই লাইসেন্সের কোনও অস্তিত্ব নেই। ভুয়ো লাইসেন্স জমা দিয়ে প্রতারণা করার দায়ে ওই ক্রেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র কারখানার তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরির এক ওয়ার্কার্স ম্যানেজার চিৎপুর থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জালিয়াতি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব রকম নথি। যোগাযোগ করা হচ্ছে ওই ক্রেতা এবং বিহার পুলিশের সঙ্গে।

এর আগে এক বছরের মধ্যে দু’বার ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। ওই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের গোয়েন্দারা সেখানকার একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করেছিলেন অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে। তবে কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি থেকে ভুয়ো নথি দিয়ে পিস্তল কেনার ঘটনায় ভিতরের কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে কিছু বলতে চায়নি পুলিশ। কিছু দিন আগে লালগড় থানার ভিতর থেকেই চুরি হয়েছিল ১৮টি বন্দুক। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ থানার তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল।

তদন্তকারীরা জানান, জানুয়ারি মাসে বিহারের রক্সৌল জেলার বাসিন্দা, হরিরাম মিশ্র নামে ওই ব্যক্তি একটি নন-প্রহিবিটেড পিস্তল (যে পিস্তল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়) কেনেন। এর জন্য তিনি বিহার সরকারের বন্দুকের একটি লাইসেন্সের কপিও জমা দেন। প্রাথমিক ভাবে কর্তৃপক্ষ সেটি অনলাইনে খতিয়ে দেখেন। অনলাইনে সব ঠিক থাকায় পিস্তলটি তাঁর কাছে বিক্রি করে কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি। তদন্তকারীরা জানান, এর পরে লকডাউন পর্ব পেরিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, লাইসেন্সটির অস্তিত্ব নেই। বিহারে যোগাযোগ করে তাঁরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হন। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Pistol Licence Kashipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE