— ছবি সংগৃহীত
রাজ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় না খুললেও সেখানে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে সরস্বতী পুজো হতে পারে, এ কথা কয়েক দিন আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার আবার তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া উচিত। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যদি অফিস খোলা থাকে, তা হলে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে পুজো করতে দিতে অসুবিধা কোথায়? কিন্তু মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজো করতে দিতে না চাওয়ায় দু’দিন ধরে কলেজে ছাত্র-বিক্ষোভ চলেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এই অনুমতি দিচ্ছেন না।
মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজো করতে দেওয়ার দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নেতৃত্বে শুক্র ও শনিবার, দু’দিনই বিক্ষোভ হয়। এ দিন ওই কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিংহকে জানিয়েছিলাম। ওঁর মত, করোনার কারণে কলেজ এখন খুলছে না। এই পরিস্থিতিতে পুজো করতে দেওয়া যাবে না।’’ দু’দিন ধরে বিক্ষোভের ফলে কলেজে ভর্তির ফর্ম ভরা-সহ সব কাজই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
ওই কলেজে টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি তন্ময় সরকার এ দিন বলেন, ‘‘প্রতিটি কলেজে পুজো হচ্ছে। আমাদের করতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ, শিক্ষামন্ত্রী চাইছেন পুজো হোক।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এ বার পুজোর অনুমতি দিচ্ছেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা আসছেন না। তাই এ বছর আর ক্যাম্পাসে পুজো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ আর নেই। ফলে পুজোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কাকে টাকা দেবে, সেটাও বড় প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে পুজো করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের হস্টেল বন্ধ থাকায় এ বার সেখানেও পুজো হবে না। কারণ, সেখানেই তাদের সরস্বতী পুজো হয়। অবশ্য টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এ দিন জানিয়েছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বত্রই কোভিড-বিধি মেনে সরস্বতী পুজো করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy