যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগে পরীক্ষার খাতা-বিতর্কের জেরে সোমবার দুই শিক্ষকের দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। এর আগে এক শিক্ষককে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। এ দিন অপর শিক্ষককেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে বলে খবর।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ওই দুই শিক্ষক পরীক্ষার খাতা না দেখেই নম্বর দিয়েছেন। কোনও ক্ষেত্রে নম্বর কেটে কমানো হয়েছে। দুই শিক্ষককে সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ওই খাতাগুলি ফের বাইরের পরীক্ষককে দিয়ে দেখানোর দাবিও উঠেছে। বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট খাতাগুলি আগে বোর্ড অব স্টাডিজ়ে পাঠানো হবে। সেখানেই এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, নেওয়া হবে।
এ দিন যখন ওই দুই শিক্ষকের দফতরে তালা দিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা কেউই ছিলেন না। এক শিক্ষক জানান, তিনি আগে ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। অপর জন জানান, তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। যে শিক্ষককে আগে শো-কজ় করা হয়েছে, তিনি বলেন, ‘‘খাতা সব দেখেছি। নম্বর তুলতে পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে।’’ অপর শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি শো-কজ়ের চিঠি পাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি উপাচার্যকে যা জানিয়েছি, তা প্রকাশ্যে আনছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে পূর্ণ আস্থা আছে।’’
এ দিকে, শিক্ষকের দফতরে তালা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। সমিতির দাবি, ছাত্র নন, এমন কেউ কেউ এই ঘটনায় জড়িত। শিক্ষকদের একাংশের আরও অভিযোগ, অন্তর্বর্তী উপাচার্যের ঘরে তাঁকে এবং সেখানে উপস্থিত শিক্ষকদের কটূক্তি করা হয়। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের ঘরের বাইরে বসে গালিগালাজও করেন কিছু পড়ুয়া। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন অন্য একটি বিভাগের তদন্ত প্রক্রিয়ায় এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ঘটনাস্থলে ছিলেন। গালিগালাজ শুনে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যদিও পড়ুয়াদের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেবে জুটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy