নভেম্বরের বাকি সময়টাও মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ পুরোমাত্রায় থাকবে। প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে ফের দু’জনের মৃত্যু হল রাজ্যে। রবিবার রাতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ৩৯ বছরের এক মহিলা। তিনি থাকতেন রাজারহাটে। সোমবারই আবার জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ওই এলাকারই আর এক বৃদ্ধা আইডি হাসপাতালে মারা যান। দু’জনেরই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ রয়েছে বলে পরিজনেরা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যার লেখচিত্র এখন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থমকে রয়েছে। নভেম্বরের বাকি সময়টাও মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ পুরোমাত্রায় থাকবে বলেই মত তাঁদের। সেই কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা। তবে, সোমবার নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডেঙ্গির প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। পুজোর পরে একটু বেড়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি তেমন উদ্বেগজনক নয়। তিনি বলেন, ‘‘ঠান্ডা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা উধাও হবে। তবে, জিন যে ভাবে বদল করছে, সেটা চিন্তার। তাই বলব, জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করান। নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’ আগামী ২১ নভেম্বর ডেঙ্গি-সহ একাধিক বিষয়ে তিনি বৈঠক করবেন বলেও এ দিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, রাজারহাটের বাইগাছির বাসিন্দা আমিনা খাতুন (৩৯) বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় গত শনিবার গভীর রাতে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময়েই তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল। পরের দিন, অর্থাৎ রবিবার বিকেলে আমিনাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, রাজারহাটের বাসিন্দা হালিমা বিবিও (৬০) সঙ্কটজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাঁরও মৃত্যু হয়।
এ দিন ডেঙ্গি নিয়ে ফের এক বার রাস্তায় নামে বিজেপির যুব মোর্চা। দক্ষিণ কলকাতার আলিপুর পেট্রল পাম্প থেকে তাদের একটি প্রতিবাদ-মিছিল শুরু হয়ে চেতলায় শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির তরফে যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক অগ্নিমিত্রা পাল, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ প্রমুখ। মিছিলে প্রতীকী মশা, সিরিঞ্জ ও স্যালাইনের বোতল নিয়ে এসেছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। মশারি জড়িয়ে মিছিলে হাঁটেন বিজেপি নেতৃত্ব। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে যুব মোর্চার কর্মীরা প্রতীকী মৃতদেহ নিয়ে দাহ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। পুলিশ ইন্দ্রনীলকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। যুব মোর্চার দাবি, কলকাতা পুরসভার উদাসীনতার কারণেই ডেঙ্গি মহামারির আকার নিচ্ছে। এর আগেও এ নিয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেছিল তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy