Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Advocate General

মৃত শিশু ওয়ার্ডেই তিন দিন, কোর্টে জানালেন এজি

শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা বাবুন মণ্ডলের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এজি কিশোর দত্ত একটি রিপোর্ট পেশ করে ওই কথা জানান।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ০৩:৩১
Share: Save:

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে একটি শিশু তিন দিন মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল বলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)।

শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা বাবুন মণ্ডলের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এজি কিশোর দত্ত একটি রিপোর্ট পেশ করে ওই কথা জানান।

সূত্রের খবর, এজি আদালতে জানান, তিন দিন ধরে শিশুটির বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। যা শুনে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, শিশুটির দেহ ওয়ার্ডে তিন দিন ফেলে রাখা হল কেন। কেনই বা তার দেহটি পচতে দেওয়া হল। মৃত্যুর খবর তার বাবা-মাকে জানানো হয়েছিল কি না এবং তার বাবা-মাকে যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তা হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চান বিচারপতি।

বাবুনবাবুর আইনজীবী ব্রজেশ ঝা এবং তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে দাবি করেন, শিশুটি ১৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে দিন থেকেই তার বাবা হাসপাতাল চত্বরে ছিলেন। ওই ব্যক্তির ফোনের কল-রেকর্ড দেখলেই তার প্রমাণ মিলবে। শিশুটির মা যে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে গিয়েছিলেন, তারও প্রমাণ মিলবে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে।

এজি-র দাবি, শিশুটির বাবা সন্তান বদলের যে অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন চিকিৎসকের একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। এজি জানান, শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে জানিয়েছে, কার গাফিলতিতে শিশুটি মারা গেল এবং কেনই বা সে তিন দিন মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার। রাজ্য হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাবে। বেঞ্চ এ দিন ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি।

বাবুনবাবুর আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, তাঁদের মক্কেল ও স্ত্রীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, প্রয়োজন হলে তবেই তাঁদের ওয়ার্ডে ডাকা হবে। না-হলে ভিতরে যাওয়ার দরকার নেই। অভিযোগ, শিশুটি তিন দিন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জেনেও হাসপাতাল এক বারের জন্যও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেনি। আইনজীবীদের অভিযোগ, ২৬ জুন তাঁদের মক্কেলকে সন্তানের পচাগলা দেহ দেখানোর পরে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ানোর পরে ২ জুলাই পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেনারেল ডায়েরিই শুধু করেছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy