কালীঘাটে স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পর মন্দিরমুখী ভক্তদের যাতায়াতে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হয়েছে। স্কাইওয়াকের মাধ্যমে মানুষ সরাসরি মন্দিরে পৌঁছে যাওয়ায় নীচের রাস্তার ভিড় অনেকটাই কমেছে। এর ফলে কালীঘাট চত্বরে যান চলাচল আগের তুলনায় অনেক মসৃণ হয়েছে। তবে এখনও একটি বড় সমস্যা রয়ে গিয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের। কালীঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দর্শনার্থীদের দীর্ঘদিন ধরেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতে এ বার উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের কাছেই পুরসভার একটি পুরনো বাড়িকে পার্কিং লট হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির একতলায় ৬০ থেকে ৬৫টি মোটরবাইক পার্ক করা যাবে। পাশাপাশি বেসমেন্টে প্রায় ২০টি চারচাকা গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ২৫ বছর আগে ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে তা আর কার্যকর হয়নি। পরবর্তী কালে কোভিড পর্বে ভিখারি ও ভবঘুরেদের আশ্রয় শিবিরের জন্য বাড়িটির তিনতলা ও চারতলা ব্যবহার করা হয়। রাতের আস্তানা (নাইট শেল্টার) হিসেবেও ব্যবহারের পর বর্তমানে একতলা ও বেসমেন্ট ফাঁকা রয়েছে। বহু দিন অব্যবহৃত থাকার ফলে বাড়িটির সামনের অংশ দখল করে কয়েক জন ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পুরসভা ইতিমধ্যেই তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে জায়গাটি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট পার্কিং এরিয়া চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আলো, সিসিটিভি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও পুরোদমে চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নতুন পার্কিং লট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই পার্কিং লট চালু হলে কালীঘাট মন্দিরে দর্শনার্থীদের পার্কিং সমস্যা অনেকটাই মিটবে।” ফলে আশা করা যাচ্ছে, কালীঘাট মন্দিরে আসা ভক্ত ও পর্যটকদের জন্য এটি বড় স্বস্তির খবর হবে।’’