দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। —নিজস্ব চিত্র
প্রবীর ঘোষালের পথে কি আরও কেউ আছেন? কিংবা তাঁর সঙ্গে কারা যোগাযোগ রাখছেন? এই সবের আঁচ পেতেই প্রবীরের বিধানসভা কেন্দ্র উত্তরপাড়ার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। বৈঠকের পর দিলীপের দাবি, ‘‘সবাই কথা দিয়েছেন, দলবদল করছেন না তাঁরা।’’
শনিবারই চার্টার্ড বিমানে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে স্মৃতি ইরানীর সভায় যোগ দিয়ে পদ্ম শিবিরের সঙ্গে পথ চলার সূচনা করেছেন। ঠিক তখনই উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকার ২টি পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধি, ছাত্র যুব মহিলা সংগঠনের পদাধিকারীদের নিয়ে উত্তরপাড়া গণ ভবনে মিটিং করলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।
বৈঠকের পর দিলীপ বলেন, ‘‘বিধায়ক অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এক জনও যাননি। দলের সভায় উপস্থিত হয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন, এই বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।"
দলের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রবীর ঘোষালকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘এই বিধানসভার মানুষ কারও যাওয়া আসার উপর নির্ভর করেন না। ৫ বছর সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে অন্য যায়গায় গিয়ে পাওয়ার ইচ্ছে থাকতে পারে। অনেক স্বপ্ন থাকতে পারে। ওখানে গিয়ে ডবল জিরো হয়ে আসতে হবে। যে স্বপ্ন দিল্লীর নেতারা দেখিয়েছেন, বাংলার মানুষ সেটা পূরণ করতে দেবেন না।’’
রবিবার সকালেই প্রবীরের ছবিতে কালি লেপে দেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। ‘গদ্দার’ বলে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যদিও প্রবীর বলেন, ‘‘আমি মনে করি তৃণমূল দলটা অপবিত্র হয়ে গেছে। গঙ্গাজলে ধুতে হবে। তৃণমূলের যাঁরা ওই সব মিছিল-মিটিং করছেন, তাঁরা আমাকে ফোন করে বলছেন, আপনার মতো মানুষ চলে যাওয়ায় আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy