পুজো-জনতার মাস্ক না পরা ও দূরত্ব-বিধি না মানা। ফাইল চিত্র।
আশঙ্কা ছিলই। পুজোর পরে দেখা গেল, সেটাই সত্যি হতে চলেছে। বেলাগাম ভিড়ের পাশাপাশি পুজো-জনতার মাস্ক না পরা ও দূরত্ব-বিধি না মানার জেরে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে বিধাননগর পুর এলাকায়। প্রমাদ গুনছেন পুরকর্তারাও। প্রতিষেধক দেওয়া ও করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার প্রচারেও।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত রবিবার বিধাননগর পুর এলাকায় কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮। সোমবার আরও ১২ জন সংক্রমিত হওয়ায় সেই সংখ্যাটা এক লাফে তিরিশে পৌঁছে যায়। এর পরে মঙ্গলবার সংক্রমিত হন আগের দিনের দ্বিগুণেরও বেশি, ২৫ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার চিন্তা বাড়িয়েছে পুরসভার।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর দাবি, পুজোর মধ্যেও কোভিড নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়েছে। পুজো মিটতেই ফের চালু হয়েছে প্রতিষেধক দেওয়া ও করোনা পরীক্ষা। তিনি বলেন, ‘‘বিধাননগর পুর এলাকায় বিভিন্ন কারণে বাইরের লোকজন আসেন। এখানে বিমানবন্দর রয়েছে। তাই আমরা একটু বেশিই সতর্ক। পুজোতেও প্রতিটি মণ্ডপ জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। এখনও মাইকে প্রচার চলছে।’’
বিধাননগরে ছোট-বড় মিলিয়ে শ’পাঁচেক দুর্গাপুজো হয়। অনেক বড় পুজোতেই এ বার ভাল ভিড়
হয়েছে। বিধাননগর লাগোয়া দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজোয় ভিড়ের কারণে অষ্টমীর রাতে মণ্ডপে দর্শকের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ।
পুরসভার এক কর্তা জানান, আপাতত স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশের দিকেই চেয়ে আছেন তাঁরা।
কোভিড নিয়ন্ত্রণে যা যা করণীয়, তা করা হচ্ছে। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে।’’
পুজোর আগেই স্বাস্থ্য দফতর রিপোর্ট দিয়েছিল, বিধাননগর, নিউ টাউন, দমদম-সহ বিভিন্ন
এলাকায় করোনা বাড়ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় দীর্ঘ দিন শীর্ষে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়ের অবশ্য দাবি, পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক নয়। তবে পুরসভাগুলিকে কোভিড নিয়ন্ত্রণের কাজ বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy