সোমবার সকাল ৯টা ৫৮। শোভাবাজার স্টেশনে এসে থামল কবি সুভাষমুখী একটি এসি মেট্রো। যাত্রিবোঝাই ট্রেনটিতে ঠেলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন যাত্রীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিন নম্বর কামরার যাত্রীদের শোরগোল শোনা গেল। তাঁদের অভিযোগ, এসি চলছে না। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা যাত্রীরা চালকের সঙ্গে কথা বলার জন্য কামরায় বসানো মাইক্রোফোনের বোতাম টিপতে থাকেন। অনেকে দরজা-জানলায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন। বন্ধ কামরায় কিছু একটা সমস্যা হয়েছে আশঙ্কা করে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। মাইক্রোফোনে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে নেমে অনুরোধ করেন।
কিন্তু দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীরা কেউ ওই আবেদনে কান দিতে চাননি। আর এই টানাপড়েনে প্রায় ২৫ মিনিট ট্রেনটি শোভাবাজার স্টেশনে আটকে থাকে। শেষে রেলরক্ষী বাহিনীর কর্মীদের আবেদনে যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে নেমে আসেন। খালি ট্রেনটি কবি সুভাষের দিকে রওনা হয়। কিন্তু তত ক্ষণে নোয়াপাড়া থেকে শোভাবাজারের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই কামরায় ধারণক্ষমতার থেকে বেশি যাত্রী ওঠার ফলেই সমস্যা হয়েছিল। একটি কোচে গড়ে সাড়ে তিনশোর মতো যাত্রী ধরে। কিন্তু এ দিন ওই কোচে অন্তত শ’খানেক যাত্রী বেশি উঠেছিলেন বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।
ওই সমস্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সা়ড়ে ১০টা নাগাদ রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে সমস্যায় পড়ে আর একটি এসি রেক। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ওই রেক থেকে পোড়া ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। ফলে রবীন্দ্র সদনে ট্রেনটি প্রায় মিনিট দশেকের জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৯টা ৫৮ মিনিট থেকে ১০টা ২১ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো শোভাবাজারে আটকে ছিল। অত্যধিক ভিড়ের জন্যই সমস্যা বলে মনে হচ্ছে।”
যাত্রীদের একাংশের মতে, অফিসের ব্যস্ত সময়ে ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের পাল্টা অভিযোগ, যাত্রীদের একাংশ সময় বাঁচাতে গিয়ে ভিড় দেখেও সেই ট্রেনেই ওঠেন। পরের ট্রেন ফাঁকা থাকলেও অপেক্ষা করতে চান না। এতেই সমস্যা বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy