প্রতীকী চিত্র।
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। শুক্রবার রাতে হাওড়ার জগদীশপুরের একটি নির্মীয়মাণ বাজারের দোতলা থেকে ওই যুবকের দেহ মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। পুলিশের দাবি, সুইসাইড নোটে ওই যুবক তাঁর মৃত্যুর জন্য ছয় প্রতি বেশীকে দায়ী করেছেন। তাঁদের মিথ্যা অপবাদের জন্যই তিনি চরম লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছেন ওই যুবক।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রবীন বর (২৫)। তিনি হাওড়ার কোনা পোলট্রি পুকুর এলাকায় থাকতেন। মৃতের সুইসাইড নোট ও তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন প্রতিবেশীকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন, সন্তু চক্রবর্তী, তাঁর স্ত্রী মানু চক্রবর্তী ও মেয়ে লিপিকা চক্রবর্তী।
পুলিশ সূত্রের খবর, পোলট্রি পুকুর এলাকায় কিছু দিন আগে একটি নর্দমা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ যাতায়াতের সময়ে শর্টকাট হিসেবে ওই নর্দমার পাড় দিয়ে যেতেন। যা নিয়ে আপত্তি করেছিলেন পাড়ার বাসিন্দা সন্তু। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রবীনের মা ওই নর্দমার পাড় দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁকে আটকে মারধর করেন সন্তুরা। খবর পেয়ে সেখানে এসে রবীন মানু ও লিপিকার চুলের মুঠি ধরে তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এর পরে সন্তু এসে রবীনকে বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। চেঁচামেচি শুনে ৭০-৮০ জন প্রতিবেশী সেখানে জড়ো হন। তাঁদের কয়েক জনও সন্তুর সঙ্গে মারধরে হাত লাগান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে লিলুয়া থানার পুলিশ এসে রবীনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় তাঁর দিদি ও জামাইবাবু থানায় গেলে পুলিশ ওই যুবককে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরে বাড়ি ফিরবেন বলে রবীন একা কোথাও চলে যান।
শুক্রবার রাতে জগদীশপুরের ওই নির্মীয়মাণ বাজারের দোতলায় স্থানীয় এক ব্যক্তি উঠে দেখেন, এক যুবক সেখানে পড়ে আছেন। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। পুলিশ পৌঁছনোর পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম রবীন। বিষক্রিয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘মারধরের খবর পেয়ে রবীনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছিল। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy