যমুনা বণিক
বন্ধ ঘর থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সোনারপুর থানা এলাকার ময়লাপোতায় বাড়ি থেকে যমুনা বণিক (৪৫) নামে ওই গৃহধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা বঁটি। তাঁর স্বামী নেপাল বণিক রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের মেঝেয় স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘরের দরজা ভিতর থেকে তালাবন্ধ ছিল। তা হলে কী ভাবে ওই গৃহবধূর গলা কাটল, সেই রহস্য মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সমাধান করতে পারেননি তদন্তকারীরা। যমুনার স্বামী নেপালকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের কথায়, ‘‘স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কাজ করেন। যমুনা আয়ার কাজ করতেন। দু’জনের কাছেই ঘরের চাবি রয়েছে।’’ নেপাল বলেন, ‘‘সোমবার আমি বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার সময়ে একাধিক বার যমুনাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ও ফোন ধরেনি। আমাকে মাছ এবং আপেল আনতে বলেছিল। সে সব নিয়ে আমি বাড়ি ফিরে দেখি, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক বার ডাকাডাকি করি। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাইনি। এক প্রতিবেশীকে ডেকে দরজা খোলা হয়। দরজা খুলে দেখি দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে।’’ ঘটনার পরে নেপালই যমুনার ভাইকে ফোন করে ডাকেন।
যমুনার ভাই অর্জুন মণ্ডল বলেন, ‘‘দিদিকে খুনই করা হয়েছে। বঁটি দিয়ে কারও পক্ষে নিজের গলা কাটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।’’ কিন্তু নেপাল জানান, যমুনাকে কেউ খুন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁদের সঙ্গে কারও শত্রুতা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন না।
তবে বঁটি দিয়ে নিজের গলা কাটার বিষয়টি একে বারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। সে ক্ষেত্রে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বঁটি দিয়ে গলা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনার অবশ্য নজির রয়েছে। তাঁর মতে, মৃত্যুর কারণ জানতে এ ক্ষেত্রে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট বিশেষ ভাবে জরুরি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy