প্রতীকী ছবি।
কাটারি নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাগুইআটির রঘুনাথপুরের একটি আবাসনে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতের নাম রূপা মণ্ডল। ওই আবাসনে পরিচারিকার কাজ করতেন রূপা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন আবাসনের বাসিন্দারা। পরে তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গুরুদাস পাল নামে ওই অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর খোঁজ শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। রূপা প্রতিদিনের মতো এ দিনও একটি ফ্ল্যাটে কাজ সেরে আবাসনের দু’নম্বর ব্লক থেকে নীচে নামেন। সে সময়ে তাঁর পথ আটকায় বছর পঞ্চাশের ওই নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ, রূপা কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি কাটারি দিয়ে তাঁর দেহের বিভিন্ন জায়গায় কোপায় সে। রূপার আর্তনাদে ছুটে আসেন অন্য নিরাপত্তারক্ষী এবং আবাসনের বাসিন্দারা। তখন গুরুদাস নিজেই ‘ধর ধর’ বলে ছোটাছুটি করতে থাকে। সকলে ভাবেন অন্য কেউ ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁরাও চারপাশে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। এই সুযোগে গুরুদাস আবাসন থেকে পালিয়ে যায়।
বাসিন্দাদের একাংশ জানান, গুরুদাস নিজেকে প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল। এর আগে সকলের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছে সে। আর এক নিরাপত্তারক্ষী দেবপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, গুরুদাসকে কাটারি নিয়ে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তখনও বোঝা যায়নি যে সে-ই হামলা চালিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকেই ওই নিরাপত্তারক্ষী হামলা চালিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। আবাসন সমিতির সভাপতি সন্দীপ চৌধুরী বলেন, ‘‘ভাল ব্যবহারের জন্য গুরুদাস পরিচিত ছিল। এমন ঘটনায় আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আমরা সকলে মিলে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy