মহিলাকে মারধরের অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল কলকাতার চিৎপুরে। অভিযোগ, ওই মহিলার বাড়ি দখল করে সেই জমিতে প্রোমোটিং করতে বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয়েছে। এমনকি, ওই মহিলাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, ওই প্রোমোটার এলাকায় নিজেকে স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিতেন।
আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, তাঁদের জমির একটা অংশে প্রোমোটিংয়ের কাজ করছিলেন স্থানীয় প্রোমোটার উত্তম হালদার। তিনি বাকি জমির কিছুটা অংশ দাবি করেন বলেও অভিযোগ। যা দিতে নারাজ ছিল আক্রান্তের পরিবার। সে সব নিয়ে ঝামেলা লেগেই ছিল। তার মধ্যেই কয়েক দিন ধরে তাঁদের বাড়িতে এবং পাড়ায় চুরির ঘটনা ঘটছিল। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন ওই মহিলার স্বামী এবং প্রতিবেশীরা।
মহিলার দাবি, গত শুক্রবার তাঁর স্বামীর সঙ্গে বচসায় জড়ান উত্তম। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। সেই সময় রুখে দাঁড়ালে তাঁকেও মারধর করেন উত্তম। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চিৎপুর থানার পুলিশ। পরে উত্তম এবং অন্যান্যদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
উত্তম এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রয়াত গোপাল হালদারের ভাই। শুক্রবারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। অতীন বর্তমানে পারিবারিক কারণে কলকাতার বাইরে রয়েছেন, তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘‘অভিযোগ এবং দোষী প্রমাণিত হওয়ার মধ্যে অনেক ফারাক আছে। তবে তৃণমূল কোনও ভাবেই এমন ঘটনাকে সমর্থন করে না। অতীতে বিভিন্ন ঘটনা থেকে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করবে। তদন্তে যদি কারও দোষ প্রমাণিত হয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করবে তারা। পুরো বিষয়টিই তদন্তসাপেক্ষ।’’
দিন কয়েক আগে কাশীপুরে এক প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রোমোটারের অভিযোগ ছিল, অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানা তোলা চেয়েছিলেন অতীনের নাম করে। তা দিতে অস্বীকার করায় অফিসে এসে মারধর করেন রানা এবং তাঁর দলের ছেলেরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। তার রেশ কাটতে না কাটতে আবার উত্তর কলকাতাতেই মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। একই সঙ্গে এই ঘটনাতেও নাম জড়াল স্থানীয় বিধায়ক অতীনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy