—প্রতীকী চিত্র।
বছর শেষে সরকারি ভাবে ডেঙ্গির মরসুমের সমাপ্তি ঘটলেও ওই রোগে মৃত্যুর ঘটনা থামল না। ২০২৩ সালের শেষ দিনেও রাজ্যে মশাবাহিত ওই রোগে মৃত্যু হল এক মহিলার। গত রবিবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় দেগঙ্গার বাসিন্দা, ফরিদা বিবি নামে ওই মহিলার।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তেতাল্লিশ বছরের ফরিদা। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তাঁকে প্রথমে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দিন তিনেক থাকার পরে ২৯ ডিসেম্বর ছুটি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ওই মহিলার ভাই মোক্তার আলি। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়িতে আসার পরে এক দিন বেশ ভালই ছিল। পরের দিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।’’ ৩১ ডিসেম্বর সকালে পরিজনেরা ফরিদাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। প্রথম থেকেই ক্রিটিক্যাল কেয়ারে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে আক্রান্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই দিনই কয়েক ঘণ্টা পরে সেই কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর, ২০১২ থেকে ২০২৩— এই ১২ বছরের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এই বছরই সর্বাধিক। সরকারি ভাবে আক্রান্ত বা মৃতের কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি, কেন্দ্রীয় পোর্টালেও ২০২৩-এর তথ্য আপলোড করা হয়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন বঙ্গের স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে বেসরকারি সূত্রের খবর, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। দিন কয়েক আগেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার পরে আবার এই মহিলার মৃত্যু ঘটল।
বর্ষার মরসুম কাটলেও এ বারে ডেঙ্গি পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। এমনকি, এখনও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে, আরও জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ থাকবে। তাতে সংখ্যায় কম হলেও লোকজন আক্রান্ত হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy