—প্রতীকী চিত্র
এর আগে এত কাছ থেকে পুলিশ দেখেননি তিনি। কখনও সখনও দূর থেকে ভয়ে ভয়ে দেখেছেন পুলিশের কাজকর্ম। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালের পরে পুলিশের প্রতি মনোভাব পুরোপুরি বদলে গিয়েছে টিটাগড় বাঁশবাগানের বছর তেইশের পূজা প্রসাদের।
এক পুলিশ অফিসারের রক্ত না পেলে আজ কী হত, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। সন্তান প্রসবের পরে রক্তের অভাবে যখন চিকিৎসা বন্ধ হতে বসেছিল পূজার, তখনই তা জানতে পেরে ঘোলা থানার আইসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ ব্যারাকপুরের হাসপাতালে এসে রক্ত দিয়ে যান তাঁকে।
ওই হাসপাতালের সুপার সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, পূজা বৃহস্পতিবার ভোরে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় তার পরেই। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। ওই অবস্থায় রক্ত না দিলে রোগিণীর জীবন বিপন্ন হতে পারত। পূজার দরকার ছিল অন্তত দু’ইউনিট রক্ত। কিন্তু হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে ছিল মাত্র এক ইউনিট ‘ও নেগেটিভ’ রক্ত।
সুপার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ১২ জন ‘ও নেগেটিভ’ রক্তদাতার নম্বর ছিল। তাঁদের ফোন করে তেমন সাড়া পাইনি। তখনই ঘোলা থানার আইসি-র কথা মনে পড়ে। ফোন করতেই উনি সঙ্গে সঙ্গে আসতে রাজি হয়ে যান।’’ সুপার জানান, কিছু ক্ষণের মধ্যেই এসে এক ইউনিট রক্ত দেন বিশ্ববন্ধুবাবু। ওই রক্ত পাওয়ার পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন পূজা।
পূজা বলেন, ‘‘সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই সমস্যা শুরু হয়। ভেবেছিলাম, ছেলের মুখটা আর দেখতে পাব না। ওই পুলিশ দাদা না থাকলে যে কী হত! দাদাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy