নির্মীয়মাণ: টালা সেতুর পাশেই চলছে জলের পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন সেতুর কাজ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তর এবং মধ্য কলকাতার বেশ কিছু এলাকা এখনও পরিস্রুত পানীয় জলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সেখানে পানীয় জলের জোগান বাড়াতে বসাতে হবে নতুন পাইপলাইন। টালা জলাধার থেকে পাইপ নিয়ে যাওয়ার জন্য টালা সেতুর পাশে তৈরি হচ্ছে আরও একটি সেতু। ট্রেসেল ব্রিজ নামে পরিচিত ওই সেতুটি তৈরি করছে পূর্ত দফতর।
পুরসভা সূত্রের খবর, শতাব্দীপ্রাচীন টালা জলাধার সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। যে সব এলাকায় পরিস্রুত জলের সমস্যা রয়েছে, সেখানে টালা থেকে নতুন পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিতেই তৈরি করা হচ্ছে সেতুটি। ৭০০ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপলাইন সেতুর উপর দিয়ে পৌঁছবে গ্যালিফ স্ট্রিটে। সেখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ করা হবে। শুধু উত্তর এবং মধ্য কলকাতাতেই নয়, দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশেও জল সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ করছে পুর প্রশাসন। গার্ডেনরিচ এবং ধাপা জল প্রকল্প ছাড়াও গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজে নতুন জল প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, ‘‘টালা সেতুর নীচ দিয়ে কেব্ল, ইন্টারনেট-সহ একাধিক পরিষেবার পাইপলাইন গিয়েছে। ফলে সেখান দিয়ে আর জলের পাইপ নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্য দিকে, উত্তর এবং মধ্য কলকাতার কিছু অঞ্চলে জলের জোগান বাড়ানোও প্রয়োজন। তাই টালা সেতুর পাশে আর একটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। সেটি দিয়ে শুধু জলের পাইপ যাবে। এর পাশাপাশি, পলতা জল প্রকল্পে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।’’ এই সেতু তৈরি হলে আগামী দিনে জলের সমস্যা অনেকটাই ঘুচবে বলে আশা পুর কর্তাদের।
গত পুরভোটে নির্বাচনী ইস্তেহারে শহরের সর্বত্র পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মেয়র হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে নাগরিকেরা ফিরহাদ হাকিমের কাছে পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সরবরাহ বাড়াতে তৎপর হয় পুরসভা। জল সরবরাহ দফতরের এক শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘গত বছর শহরে তিনটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। গার্ডেনরিচ ও ধাপা জল প্রকল্পে উৎপাদন ক্ষমতা তিন কোটি গ্যালন বাড়ানো হবে। এ ছাড়া, ঢালাই ব্রিজে নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এক কোটি গ্যালন জল তৈরি হবে। এই প্রকল্পগুলি চালু হলে দক্ষিণ কলকাতা-সহ ইএম বাইপাস ও শহরের সংযুক্ত এলাকায় জলের চাহিদা মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy