—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলের মধ্যেই আহত হল পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের একটি বেসরকারি স্কুলে। ওই পড়ুয়ার মা-বাবার অভিযোগ, ঘটনার পরে তাঁদের ছেলের ক্ষতস্থানে ওষুধ দিয়ে শুধু ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া, কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে খবর পেয়ে ওই দম্পতি গিয়ে ছেলেকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। নার্সিংহোম সূত্রের খবর, ওই ছাত্রের ভ্রুর কাছে দু’টি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রটি পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে, না কি ঘটনাটি অন্য কিছু, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাঁদের অভিযোগে ছাত্রটির মা-বাবা আরও জানিয়েছেন, স্কুলে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার কোনও ফুটেজ তাঁদের দেখাননি। বাবার দাবি, ছেলে তাঁদের জানিয়েছে, তাকে পিছন থেকে কেউ ধাক্কা মেরেছিল। দম্পতির বক্তব্য, এটি নিছক দুর্ঘটনা, না কি তাঁদের ছেলেকে সত্যিই কেউ ধাক্কা মেরেছে, স্পষ্ট ভাবে তা জানার জন্যই তাঁরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তেমন কোনও ফুটেজ দেখাতে পারেননি। ওই পড়ুয়ার বাবা জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁর
ছেলের সঙ্গে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সে বার স্কুলের তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছিল।
আহত পড়ুয়ার মা-বাবা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তাঁদের ছেলে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। স্কুলে যেতেই ভয় পাচ্ছে সে। ছাত্রটির বাবা জানান, বুধবার স্কুল থেকে ফোন করে তাঁদের বলা হয়, ছেলে আহত হয়েছে। মা-বাবা গিয়ে দেখেন, ছেলের ক্ষতস্থানে শুধু একটি ব্যান্ডেজ করা। ওই ছাত্রের মা জানান, পর পর দু’বার এমন ঘটনার পরে তাঁরা ওই স্কুলে
ছেলেকে আর পাঠাবেন কিনা, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছেন। যদিও গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy