Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Patient Harassment

হয়রান পরিবার, ডিএনএ মিললে তবে মিলবে দেহ

পুতুলের পরিবারের লোকজন জানান, এ দিন ভুবনেশ্বরের এমসে গিয়ে ছবি ও নম্বর দেখিয়ে মৃতদেহ শনাক্তকরণের কথা বলেন তাঁরা। হাসপাতালের এক আধিকারিক সেই ছবি দেখে সেটি পুরুষের মৃতদেহ বলে জানান।

An image of a dead body

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৮:১৮
Share: Save:

মেদিনীপুরের কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে ছবি ও মৃতদেহের নম্বর পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল, ভুবনেশ্বরের এমসে রয়েছে ওড়িশার বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত পুতুল হাঁসদার দেহ। অথচ, পরিবারের লোকজন বুধবার সারা দিন ওড়িশার একাধিক জায়গায় খুঁজেও পুতুলের দেহ পেলেন না।

পুতুলের পরিবারের লোকজন জানান, এ দিন ভুবনেশ্বরের এমসে গিয়ে ছবি ও নম্বর দেখিয়ে মৃতদেহ শনাক্তকরণের কথা বলেন তাঁরা। হাসপাতালের এক আধিকারিক সেই ছবি দেখে সেটি পুরুষের মৃতদেহ বলে জানান। তখন হাসপাতালের বড়স্ক্রিনে অন্যদের তা দেখালে তাঁরা আবার জানান, সেটি মহিলারই ছবি। তবে, সেই মৃতদেহ এ দিন সকালে অন্য একটি পরিবার তাদের পরিজনের বলে দাবি করে নিয়ে গিয়েছে। পরে পুতুলের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়, দুর্ঘটনার পরের দিন ওই মৃতদেহ বালেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভুবনেশ্বরের এমসে ছেলে সঞ্জয় হাঁসদা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা দিয়ে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সন্ধ্যায়বালেশ্বরে রওনা দেন। পুতুলের বৌমা মামণি হাঁসদা বলেন, “বুধবার ভোর থেকেই খুঁজছি। জীবিত না মৃত, জানতে পারছি না।’’

প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, হরিণঘাটা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের টালিখোলা এলাকার বছর পঞ্চাশের অরবিন্দ সরকার ও পুতুল হাঁসদা একসঙ্গে চেন্নাইয়ে কাজের জন্য যাচ্ছিলেন। গত শুক্রবার শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরেছিলেন। ওই দিন ট্রেন দুর্ঘটনার পরে আর দু’জনের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন।

অরবিন্দের পরিবারের লোকজন পাঁচ দিন ধরে কটক, বালেশ্বর, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও সন্ধান পাননি ওই ব্যক্তির। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বর ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল রুম থেকে একটি মৃতদেহের ছবি দেখে অরবিন্দের মৃতদেহ বলে অনুমান করেছিলেন পরিবারের লোকজন। সেই দেহ রয়েছে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পারেননি পরিবারের লোকজন। ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করে তবেই মৃতদেহ দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। ভুবনেশ্বরের এমসে অরবিন্দের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার রক্তের নমুনা দিয়ে পরিবার-প্রতিবেশীদের নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিবেশী সত্যজিৎ রায় জানান, “ভুবনেশ্বরের এমস থেকে নমুনা হায়দরাবাদে যাবে। সেখান থেকে পাঁচ-সাত দিন পরে হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট পাঠাবে। পাশাপাশি বিস্তারিত জানাবে জেলাশাসকের দফতরে।”

অন্য বিষয়গুলি:

DNA patient harasment dead body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy