প্রতীকী চিত্র।
ফোন গিয়েছিল পুলিশের ১০০ ডায়ালে। সেই ফোন পেয়েই নিউ টাউনের ইকো পার্ক থানা এলাকার একটি হোটেলের কাছ থেকে ৩৯ বছরের এক মূক ও বধির মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তত ক্ষণে অবশ্য তাঁর পরিবার থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করতে পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ওই মহিলার। এর পরেই ঘটনাক্রম বদলে যায়। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা’র জন্য ভর্তি করা হয় মহিলাকে।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও মহিলার অসুস্থতা ঠিক কী ধরনের বা তাঁর সঙ্গে কোনও ‘অস্বাভাবিক’ ঘটনা ঘটেছে কি না, তার সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। তাঁদের দাবি, কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। আরও পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সমস্ত রিপোর্ট পেলে তবেই মহিলার অসুস্থতা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার পরিজনেদের কথাতেও রয়েছে অসঙ্গতি। সব মিলিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মহিলা কী বলতে চান, তা ভাল ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। সেই কারণে তাঁর কথা বুঝতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তবে পরিবারের তরফে রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত দশটার কিছু পরে এক ব্যক্তি ১০০ ডায়ালে ফোন করে জানান, তিনি নিউ টাউনের ওই হোটেলের কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এক মহিলা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, যিনি কিছু বলতে বা বুঝতে পারছেন না। তার পরেই মহিলাকে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। এক আত্মীয় জানান, পরিবারে মূক ও বধির ওই মহিলার আরও তিন বোন, দুই ভাই ও বাবা-মা ছিলেন। বাবা ও এক ভাই মারা গিয়েছেন।
পরিবার সূত্রের খবর, এর আগেও বহু বার ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পরে তাঁকে ফেরত আনা হয়েছে। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যা পার করেও বাড়ি না ফেরায় ইকো পার্ক ও রাজারহাট থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। পুলিশের দাবি, পরিবার ইকো পার্ক থানায় যাওয়ার আগেই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত থেকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই মহিলার। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে স্ত্রীরোগ বিভাগে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হলেও দেখা যায়, পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। ফলে ভর্তি করিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই রিপোর্ট না এলে অসুস্থতা সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না। প্রয়োজনে মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। তবে হাসপাতাল সূত্রের খবর, রোগিণীর অসুস্থতার অতীত ইতিহাস জানা যায়নি।
এক আত্মীয় জানান, মহিলা ইশারায় কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কী বলতে চাইছেন, তা স্পষ্ট নয়। বিধাননগর পুলিশের ডিসি (সদর) কুণাল আগরওয়াল জানান, হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট এবং চিকিৎসকদের মতামত পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy