এই গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী মীর আবুল ফারহাদের । বৃহস্পতিবার, বাসন্তী হাইওয়েতে। নিজস্ব চিত্র
পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়েতে, চর্মনগরীর কাছে। দুর্ঘটনায় পণ্যবাহী গাড়িটিও উল্টে যায়। তাতে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই গাড়ির এক আরোহীও। গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মীর আবুল ফারহাদ (৪৮)। তাঁর বাড়ি ভাঙড় থানা এলাকার পিয়াদাপাড়ায়। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনার পরে তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তির নাম আসাদুল মোল্লা। তাঁরও বাড়ি ভাঙড় থানা এলাকারই বৈরামপুরে।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পণ্যবাহী গাড়িটি উল্টে পড়ে রয়েছে। ভেঙে গিয়েছে গাড়ির অ্যাক্সেল। গাড়িতে থাকা ছাঁট চামড়া রাস্তার পাশে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে। পুলিশ একটি ‘রেকার’ দিয়ে গাড়িটি সোজা করার চেষ্টা করছে। কাছেই দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন মৃতের ছেলে মীর জাহাঙ্গির হোসেন। তিনি জানান, তাঁর বাবা ১৪ বছর ধরে চর্মনগরীতে প্রহরীর কাজ করেছেন। রাতের ডিউটি সেরে এ দিন বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। বাড়িতে জাহাঙ্গিরের দুই বোন এবং মা রয়েছেন। জাহাঙ্গির নিজে সেলাইয়ের কাজ করেন। এ দিনই মীর আবুলের দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের একাংশের অনুমান, ওই সাইকেল আরোহী কোনও ভাবে পণ্যবাহী গাড়িটির সামনে চলে আসেন। তাঁকে বাঁচাতে জোরে ব্রেক কষেছিলেন গাড়ির চালক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। উল্টে অ্যাক্সেল ভেঙে যাওয়ায় পণ্যবাহী গাড়িটিও উল্টে যায়। তাতেই আহত হন ওই গাড়ির আরোহী।
এলাকার মানুষের বক্তব্য, ওই রাস্তায় গাড়ির চাপ দিনদিনই বাড়ছে। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা কমাতে রাস্তা চওড়া করা প্রয়োজন। তবে অনেকের এ-ও বক্তব্য, ওই হাইওয়ে দিয়ে যেমন দ্রুত গতিতে পণ্যবাহী এবং যাত্রিবাহী গাড়ি চলে, তেমনই সাইকেল এবং ভ্যানও চলে। রাস্তা ফাঁকা থাকলে বেপরোয়া গতিতেও বহু গাড়ি ছোটে। ই এম বাইপাস থেকে ঘটকপুকুর মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তাটি তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের আওতাধীন। কিন্তু এত লম্বা রাস্তায় পর্যাপ্ত নজরদারির মতো পুলিশকর্মী নেই। সেই নজরদারি বাড়ানোও প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন অনেকে। যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই রাস্তায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল আছে, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশকর্মীরাও থাকেন। তবে যান নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর কড়া যায় কি না, সেই বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy