—ফাইল চিত্র।
মেট্রোয় ওঠার সময়ে কামরার দরজার দুই পাল্লার মাঝে এক কলেজছাত্রীর কাঁধ আটকে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। ছাত্রীটির দাবি, শেষ মুহূর্তে অন্য এক যাত্রী তাঁকে টেনে নেওয়ায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে। যদিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন কোনও বিভ্রাট হয়নি।
সেন্ট জেভিয়ার্সের ওই ছাত্রী আত্রেয়ী ভট্টাচার্য এ দিন কলেজেই রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পার্ক স্ট্রিটে একটি এসি মেট্রোয় যখন তিনি প্রায় উঠে পড়েছেন, সে সময়ে কামরার দরজা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই অবস্থায় তাঁর দু’টি কাঁধে দরজা এসে ঠেকে। সঙ্গে সঙ্গেই এক যাত্রী ওই ছাত্রীকে টেনে নিয়ে আসেন। আত্রেয়ীর কথায়, ‘‘দরজা কাঁধে আটকানো অবস্থায় ট্রেন চলতে শুরু করার মতো ঝাঁকুনি অনুভব করি। তার মধ্যেই এক যাত্রী আমাকে ভিতরে টেনে আনেন। এর পরে দরজা খুলে ফের বন্ধ হয়ে যায়।’’
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে সামলে উঠে তাঁর গন্তব্য নেতাজি স্টেশনে নেমে যান। সন্ধ্যায় ওই অভিজ্ঞতার কথা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে টুইট করে জানান তিনি। ঘটনার কথা জানতে পুলিশও তাঁর বাড়িতে যায়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য ছাত্রীটির দাবি অস্বীকার করেছেন। এক কর্তা জানান, প্রযুক্তিগত ভাবে দরজা বন্ধ হওয়ার মুখে ট্রেন চলতে শুরু করার কথা নয়। ওই ছাত্রীর কাঁধে বাধা পেয়ে দরজা আবার খুলেছে। তার পরে দরজা বন্ধ হওয়ার সঙ্কেত পেয়ে ট্রেন চলতে শুরু করেছে।’’ মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অস্বাভাবিক কিছু পাইনি।’’ তবে মাসখানেক আগে পার্ক স্ট্রিটে সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যুর ঘটনার পরে ফের সেই স্টেশনে এমন অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে মেট্রো।
অন্য দিকে, এ দিনই সন্ধ্যায় বেলগাছিয়া থেকে কবি সুভাষগামী একটি মেট্রোর কোচে ধোঁয়া দেখে কন্ট্রোলে ফোন করে জানান এক যাত্রী। ট্রেনটি শ্যামবাজারে পৌঁছনোর পরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কিছু পাওয়া যায়নি। মিনিট চারেকের মধ্যে ছেড়ে যায় ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy