শিবাজী ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
প্রতি শনিবারের মতো এ দিনও ছোট মেয়েকে রাখতে গিয়েছিলেন কাঁকুড়গাছিতে, এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ফেরার পথে শিয়ালদহে এক বন্ধুর বাড়ি যান। সেখান থেকে রাতে বাইক চালিয়ে একাই ফিরছিলেন। চাউলপট্টি রোডের কাছে গাড়ির সঙ্গে মোটরবাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। শনিবার রাত ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটা থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিবাজী ভট্টাচার্য (৪৬)। তিনি প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ক্যানাল সাউথ রোডের বাসিন্দা। পেশায় বহুজাতিক সংস্থার ওই কর্মী চারতলা আবাসনে দুই মেয়ে এবং বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে বাইক চালিয়ে একাই ফিরছিলেন শিবাজী। সামনে থেকে আসা একটি গাড়ি চাউলপট্টি রোডে ওই মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন শিবাজী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকচালককে ওখানে ফেলেই চম্পট দেন গাড়ির চালক। স্থানীয়েরাই গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে বেলেঘাটা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে গাড়িটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগেই শিবাজীর স্ত্রী মারা যান। তার পর থেকে দুই মেয়ে এবং মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দুই মেয়ে নিউ টাউনের একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে ছোট মেয়েকে মাঝেমধ্যে শনিবার বিকেলে কাঁকুড়গাছিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসতেন। রবিবার বিকেলে নিয়ে আসতেন। ওই দিনও তেমনই করেছিলেন। ফেরার পথে শিয়ালদহে এক বন্ধুর বাড়িতে ঢোকেন। ওই বন্ধু শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘ছোট মেয়েটা কিছুই জানে না। কী করে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াব, আমরা জানি না।’’
এ দিন ক্যানাল সাউথ রোডের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রতিবেশী ও বন্ধুদের ভিড়। দুর্ঘটনার খবর শুনে শিবাজীর ভিন্ রাজ্যের বন্ধুরাও অনেকে চলে এসেছেন। কেউই কথা বলার অবস্থায় নেই। এমনকি, অধিকাংশই দুর্ঘটনার কারণ নিয়েও সন্দিগ্ধ। এক বন্ধুর কথায়, ‘‘যে দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হল, তা কী ভাবে ঘটল, সেটাই পুলিশ ঠিক ভাবে বলতে পারছে না।’’ যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছি। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সব কিছু দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy