প্রতীকী ছবি
জাল নোট-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। ধৃতকে জেরা করতে গিয়ে খোঁজ মিলল অপহরণে অভিযুক্ত আরও চার দুষ্কৃতীর।
মণিপুরের নোনে জেলায় একটি বেসরকারি সংস্থার এক বাঙালি আধিকারিককে অপহরণের অভিযোগে দুই মহিলা-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে ধরেছে লালবাজারের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এই ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে মুক্তিপণের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা-সহ কয়েকটি মোবাইল ফোন।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ইসাউলাং রাইমে, লাইসরাম জিনান, রংমেই কামেই আথুনান, রিনসি খিখি পনমেই ও জিনা রংমেই। ধৃতদের মধ্যে শেষের দু’জন মহিলা। লাইসরাম ও রংমেই মণিপুর এবং বাকি তিন জন অসমের বাসিন্দা। ধৃতেরা নাগাল্যান্ড-মণিপুরের জ়োলিয়াংগ্রং ইউনাইটেড ফ্রন্ট নামে এক জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বর থেকে দেড় লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ ইসাউলাংকে ধরা হয়েছিল।
লালবাজারের দাবি, জেরায় ইসাউলাং জানান, তাঁর কয়েক জন সহযোগী রয়েছে। সেই মতো শুক্রবার হাওড়ার গোলাবাড়িতে হানা দিয়ে বাকি চার জনকে পাকড়াও করা হয়। উদ্ধার করা হয় নগদ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড। লালবাজারের খবর, ওই টাকা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে জেরা করার সময়ে ধৃতেরা জানায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নোনে জেলায় একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজার অভিজিৎ ধরকে অপহরণ করেছিলেন তাঁরা। মুক্তিপণ নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া ওই টাকা সেই মুক্তিপণের একটি অংশ।
সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, জাল নোট পাচারের মামলায় শুক্রবার ইসাউলাংকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, আদালতে নিজেই সওয়াল করেন ইসাউলাং। জাল নোট পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেন তিিন। লালবাজার জানিয়েছে, ইসাউলাং ছাড়া বাকি ধৃতদের আজ, শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হবে। ইতিমধ্যে নোনে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে লালবাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy