রাতে ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরে পরিজনেরা অঙ্গদানে সম্মতি দেন। প্রতীকী চিত্র।
পনেরো মাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে আদর করছিলেন বাবা। আচমকাই শুরু হয় তীব্র মাথার যন্ত্রণা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারান তিনি। ভয়াবহ সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ছ’দিন জ্ঞান ফেরেনি বছর সাতাশের সৌমেন ভদ্রের। ব্রেন ডেথ হওয়ার পরে পরিজনেরা সিদ্ধান্ত নেন, অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকুন তিনি।
বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বাসিন্দা সৌমেনের মরণোত্তর অঙ্গদানে শুক্রবার নতুন জীবন পেলেন আরও চার জন। গত ১৯ মে রাতে অফিস থেকে ফিরে স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা বলছিলেন বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওই পদস্থ কর্মী। খাওয়াদাওয়া সেরে সময় কাটাচ্ছিলেন ছেলের সঙ্গে। রাত ১১টা নাগাদ প্রচণ্ড মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়। আচমকাই সৌমেন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। রাতেই তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, বড়সড় সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত ওই যুবক। পরের দিনই তাঁকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সৌমেনের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ সঙ্কটজনক হচ্ছে। ২৫ মে সকালে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ওই যুবকের ব্রেন ডেথ হচ্ছে।
রাতে ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরে পরিজনেরা অঙ্গদানে সম্মতি দেন। ‘রিজিয়োনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন’ (রোটো)-এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড, বৃক্ক ও যকৃৎ প্রতিস্থাপনের গ্রহীতা চিহ্নিত করা হয়। এ দিন সকালে অঙ্গ তোলা হয়। এসএসকেএমের এক ২৭ বছরের ও অ্যাপোলোর এক ২৮ বছরের যুবক পান বৃক্ক। অ্যাপোলোয় চিকিৎসাধীন ৫৩ বছরের এক রোগী পেয়েছেন যকৃৎ। আর এন টেগোর হাসপাতালের ২৮ বছরের এক যুবকের শরীরে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy