—প্রতীকী চিত্র।
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে মার খায় এক ছাত্রীও।
মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে হুলস্থুল পড়ে যায় লেক টাউন থানার দমদম পার্কের তিন নম্বর ট্যাঙ্ক এলাকায়। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি ও তাঁর লোকজন অভিযুক্ত যুবকদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। মারামারির অভিযোগে দুই যুবককে পরে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাঁদের বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে জামিন পান দু’জনেই। তদন্তকারীরা জানান, নিগৃহীতদের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্র ও ছাত্রীটি দমদম পার্কের তিন নম্বর ট্যাঙ্কের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। সেই সময়েই দু’তরফে বচসা ও মারামারি হয়। দমদম পার্কের একটি হোটেলে এক অভিযুক্তের জন্মদিনের পার্টি চলছিল। সেখান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রহৃত ওই ছাত্রের অভিযোগ, সে ও তার বান্ধবী যখন হেঁটে ফিরছিল, তখন স্কুটার নিয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন অভিযুক্ত দুই যুবক-সহ কয়েক জন। ছাত্রটি জানায়, তাদের দেখে দুই যুবক কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে অভিযুক্তেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ ওই ছাত্রের। তার অভিযোগ, ‘‘ওই দু’জন নেশাগ্রস্ত ছিল। আমাকে ডেকে ওই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলায় আমি প্রতিবাদ করি। তাতে আমাকে মারধর করা হয়। বাঁচাতে গেলে আমার বন্ধুকেও মারধর করা হয়। যাওয়ার সময়ে ওরা শাসানি দেয়, ওই জায়গায় আমাদের দেখলে আবারও মারবে।’’
এর পরে ওই ছাত্র ও ছাত্রী স্থানীয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বজিৎ প্রসাদের কার্যালয়ে ঢুকে সব ঘটনা জানায়। বিশ্বজিতের দাবি, তাঁর কার্যালয়ে থাকা দু’-এক জনের থেকে তিনি জানতে পারেন, অভিযুক্তেরা শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকায় বিপজ্জনক গতিতে বাইক চালানোর জন্য পরিচিত সেই যুবকেরা।
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা) ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হোটেলে জন্মদিনের পার্টি চলছিল। সেখানে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত এক জনকে চড় মারছেন বিশ্বজিৎ ও তাঁর লোকজন।
চড় মারার কথা স্বীকার করে বিশ্বজিতের দাবি, ‘‘মেয়েটি অভিযুক্তদের ছবি তুলেছিল। আমার ছেলেরা তাঁদের ছবি দেখে চিনতে পারে। যাঁর জন্মদিন, তাঁর নম্বর জোগাড় করে। আমি তাঁকে ফোন করে জানতে চাই কেন ওদের মারধর করা হয়েছে? অভিযুক্ত আমার সঙ্গে কথা বলতে ও দেখা করতে অস্বীকার করেন। তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওকে একটা চড় মেরে পুলিশে দিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy