—ফাইল চিত্র
কসবা থানার অদূরে একটি পেট্রল পাম্প থেকে টাকা না মিটিয়েই ১১০০ টাকার তেল ভরে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই পেট্রল পাম্পের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় রবিবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সিদ্ধার্থ বায়েন এবং ছোটু মণ্ডল। দু’জনেই পেশায় অটোচালক।
মাস দুয়েক আগে একই ভাবে তারাতলা থানার পাশে একটি পেট্রল পাম্পে তাণ্ডব চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কসবার ওই পেট্রল পাম্পের মালিক অরিন্দম নন্দীর অভিযোগ, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ চারটি মোটরবাইকে করে ১০-১২ জন যুবক এসে ওই পাম্পে তাণ্ডব চালায়।
তারা প্রথমে নিজেরাই তেলের পাইপ থেকে মোটরবাইকে তেল ভরে নেয়। সেই সময়ে কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। অরিন্দমবাবুর কথায়, ‘‘আমার ম্যানেজার রঞ্জন জানার চোখে ঘুষি মারে। এর পরে কর্মীদের মারতে মারতে অফিসঘরে ঢুকিয়ে দেয়। ওরা ছিনতাই করতেই এসেছিল।’’
ওই পেট্রল পাম্পের কর্মীদের মারধর করে দুষ্কৃতীদের এলাকা ছেড়ে পালানোর ছবি সেখানকার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখেই রবিবার বিকেলে সিদ্ধার্থ ও ছোটুকে ধরে পুলিশ। তারা রুবি-গড়িয়াহাট রুটে অটো চালায়।
বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনায় ধৃতেরা পেশায় অটোচালক হওয়ায় ফের প্রশ্নের মুখে তাঁদের ভূমিকা। অতীতে একাধিক বার চলন্ত অটোয় যাত্রীদের হেনস্থা বা মারধরের অভিযোগ উঠেছে অটোচালকদের বিরুদ্ধে। এ দিনের ঘটনা ফের সেই প্রশ্নকে সামনে এনে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে দক্ষিণ কলকাতার অটো ইউনিয়নের সম্পাদক তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও জবাব মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy