জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গা আলোকিত করার কাজে হাত দিতে চলেছে পুরসভা। প্রতীকী চিত্র
জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গা আলোকিত করার কাজে হাত দিতে চলেছে পুরসভা। বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকা দিয়ে ৪১টি ওয়ার্ডে আলো বসানোর কাজ হবে।
আমপানের সময়ে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসংখ্য বাতিস্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জেরে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অন্ধকার ছিল বহু রাস্তা, গলি। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমপান সাম্প্রতিক সময়ের একটি ঘটনা। গত পাঁচ বছরে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ড আলো সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। তাঁদের অভিযোগ, সল্টলেক থেকে কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বহু অংশে রাস্তা, গলি এবং উদ্যান এলাকায় পর্যাপ্ত আলো নেই। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দারাও।
বাসিন্দাদের অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ পুর কর্তারা। তাঁদের একাংশের কথায়, গলি থেকে বড় রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক জায়গায় হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভও রয়েছে। পরে এলইডি আলো লাগানোর চিন্তাভাবনা করা হয়। অর্থের সমস্যা-সহ বেশ কিছু জটিলতায় কাজ আটকে গিয়েছিল। পাশাপাশি করোনা অতিমারির জেরেও কাজ থমকে যায়। অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় এখন প্রতিটি ওয়ার্ডে সেই সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে। সূত্রের খবর, ওয়েবেলকে এই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সাত বছর ধরে তারাই আলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভার বোর্ড গঠনের পরে আলোকায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্প ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। এর পরে তৎকালীন মেয়র সব্যসাচী দত্ত ইস্তফা দেন। পরে মেয়র পদে আসীন হয়ে কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও আলো বসানোর চেষ্টা করছে পুরসভা। এর জন্য একটি খসড়া প্রস্তাবও জমা দেওয়া হয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। সম্প্রতি সেই প্রকল্পেই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিধাননগর পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণাদেবী জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আলো নিয়ে সমস্যার কথা বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছিলেন কাউন্সিলরেরা। সব খতিয়ে দেখে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। পুরসভার আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভা পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। একটি বড় প্রকল্প করতে গেলে কিছুটা সময় লাগে। তার উপরে করোনার জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়। আমপানে বহু বাতিস্তম্ভের ক্ষতি হয়েছিল। তাই কিছুটা সময় লেগেছে। দ্রুত বিভিন্ন এলাকায় আরও আলো বসানোর কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy