হাওড়ার আন্দুলে প্রভু জগদ্বন্ধু কলেজের ছাত্র তথা এসএফআই সমর্থক স্বপন কোলেকে খুনের ঘটনায় ১৩ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল হাওড়া জেলা ও দায়রা আদালত। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের মুক্তি দেন।
সরকারি কৌঁসুলি রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মামলায় ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু সাক্ষ্য দেওয়ার সময়ে ১২ জনই বিরূপ হন। তিনি আরও জানান, ২০১০-এর ১৬ ডিসেম্বর জগদ্বন্ধু কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংর্ঘষ হয়। খুন হন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্বপন। ওই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, অবরোধ হয়। স্বপনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ১৩ জন কর্মী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত তুষার ঘোষ, রণজিৎ চন্দ ও রূপম সাধুখাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান তুষার ও রূপম। রণজিৎ আগাম জামিন নেন হাওড়া জেলা আদালত থেকে। পরে তিন অভিযুক্ত সুতনু পোল্লে, সৌরভ সাঁতরা ও ইমন ভৌমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরাও হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান অন্য সাত অভিযুক্তও।
এ দিন অভিযুক্তদের আইনজীবী নীলাঞ্জন নস্কর জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছিল। মুক্তি পেয়ে তুষার বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ছিলই। সুবিচার পেয়ে খুশি।’’ এ দিন রায় শুনতে আদালতে হাজির ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি যে সাজানো, আদালতের রায়েই তা প্রমাণিত হল।’’ সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘এ কথা সত্যি, স্বপনকে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল। ১৩ জন অভিযুক্তকে খালাস করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু প্রকৃত খুনি কে, তা বার করার দায়িত্বও সরকারের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy