Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Train accident

টিটাগড়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু পরীক্ষার্থী তরুণীর

সোদপুরের শেঠ কলোনির বাসিন্দা পূজার এ দিন ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ০৬:০৮
Share: Save:

অভাবের সংসার। উচ্চ শিক্ষার পরে বিভিন্ন চাকরির চেষ্টা করছিলেন বছর পঁচিশের তরুণীটি। রবিবারেও ব্যাঙ্কের পরীক্ষা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই পরীক্ষায় আর বসা হল না। ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল পূজা দত্ত নামে ওই তরুণীর।


সোদপুরের শেঠ কলোনির বাসিন্দা পূজার এ দিন ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ঘটনায় হতবাক তাঁর পরিজনেরা।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করার পরে চাকরির চেষ্টা করেছিলেন পূজা। মেধাবী ছাত্রী হওয়ায় ভাল প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই যে প্রাণ যাবে, তা বাড়ির লোক এখনও মানতে পারছেন না।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূজাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁর বাবা-মা দু’জনেই অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন। বাবা তপন দত্ত একটি ছাপাখানায় কাজ করেন। মা সীমা দত্ত আয়ার কাজ করেন। এ দিন সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পূজা। ট্রেনে করে ব্যারাকপুরে যাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেন টিটাগড় স্টেশনে ঢোকার কিছুটা আগেই কোনও ভাবে তিনি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। স্থানীয়েরাই টিটাগড় থানায় খবর দেন। স্থানীয়দের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করে বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।


পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করার পরে চাকরির চেষ্টা করছিলেন তিনি। পূজা বাড়িতে জানিয়েছিলেন যে তাঁর প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। তাই ভাল ফলের প্রত্যাশাও ছিল। কিন্তু, সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই ঘটে গেল অঘটন।
পুজার ব্যাগেই অ্যাডমিট কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাঁর ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর পায়। তাঁর বাবাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে টিটাগড় থানার সামনে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর বাবা-মা এবং পরিজনেরা। বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন পূজার মা।


পূজার মেসোমশাই বুদ্ধদেব বসু বলেন, “মেয়েটা লেখাপড়ায় বরাবরই ভাল। অভাব ছিল বলে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করত। মেয়েকে মানুষ করতে ওর বাবা-মাও খুব কষ্ট করেছেন। আমাদের আশা ছিল, পূজা চাকরি পেলে পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না—ও আর নেই।”

অন্য বিষয়গুলি:

Deaths Train accident Titagarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy