দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই স্কুটার। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
মাত্র দিন পাঁচেক আগে কেনা স্কুটারে সঙ্গীকে বসিয়ে বেরিয়েছিলেন যুবক।দু’জনেই বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, কাজ সেরে রাতে ফিরবেন। কিন্তু মাঝরাতে বাড়ি ফেরার পথেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল যুবকের। সঙ্কটজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর সঙ্গী তরুণী।
রবিবার রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চারু মার্কেট থানার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবংদেশপ্রাণ শাসমল রোডের সংযোগস্থলে। মৃতের নাম বিকাশ পাণ্ডে (২১)। তাঁর বাড়ি ডোভার লেনে। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুটারে বিকাশের পিছনে বসেছিলেন তাঁর সঙ্গী শিল্পা অধিকারী (২১)। প্রিন্সআনোয়ার শাহ রোড ধরে আসা একটি লরি দেশপ্রাণশাসমল রোড থেকে বাঁ দিকে ঘুরতে গেলে সেটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বিকাশের স্কুটারের। তদন্তকারীদের ধারণা, স্কুটারটি ওভারটেক করতে যাওয়ায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। লরির ধাক্কায় স্কুটারটি এক দিকেউল্টে যায়। বিকাশ এবং শিল্পা চাপা পড়ে যান লরির নীচে। লরির চাকা যুবকের মাথা এবং তরুণীর পেটের উপর দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকেরা বিকাশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, শিল্পাকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহালার পি এন মিত্ররোডের বাসিন্দা শিল্পার বিয়ে হয়েছে বছর ছয়েক আগে। তাঁর একটি আড়াই বছরের ছেলে আছে। তবে কয়েক মাস ধরে বিকাশের সঙ্গে থাকছিলেন ওই তরুণী। তাঁর পরিবারের দাবি, দু’জনে বিয়েও করেছিলেন।সোমবার হাসপাতালে দাঁড়িয়ে শিল্পার দিদি প্রিয়াঙ্কা অধিকারী বলেন, ‘‘রবিবার রাত আটটা পর্যন্ত দু’জনে আমাদের সঙ্গে ছিল। তার পরে হঠাৎই এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। এ-ও বলেছিল, ফিরতে রাত হবে।বেশি রাতে ফোনে দুর্ঘটনার খবর পাই।’’ তরুণীর পরিবারের দাবি, বিকাশ ও শিল্পা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। পিছন থেকে তাঁদের ধাক্কা মারে দ্রুত গতিতে আসা লরিটি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘আমরা সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। স্থানীয় দোকানিরাই সে কথা জানিয়েছেন।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, স্কুটারচালক বাআরোহী, কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরেই লরি নিয়ে পালান চালক। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে লরিটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেনতদন্তকারীরা। এ দিন এম আর বাঙুর হাসপাতালে গিয়ে বিকাশের দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘যুবকের মুখের অবস্থা এমন হয়েছিল যে, চেনার উপায়ছিল না। তাঁর পিঠের উল্কি দেখে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy