প্রতীকী ছবি
আইসিএমআরের সেরো-সার্ভে সূচকে শীর্ষে কলকাতা। গোষ্ঠীতে সংক্রমণের মাত্রা বুঝতে সম্প্রতি এ রাজ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার এবং বাঁকুড়ায় রক্তে আইজিজি অ্যান্টিবডির খোঁজে রক্তপরীক্ষা করেছিলেন আইসিএমআরের প্রতিনিধিরা। ছ’টি জেলার মধ্যে কলকাতায় ৩৯৬ জনের মধ্যে ৫৭ জনের শরীরে অ্যান্টিবডির হদিস মিলেছে। শতাংশের হিসেবে যা হল ১৪.৩৯। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২.৫০ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ০.৭৫, আলিপুরদুয়ারে ১ এবং বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে .২৫ শতাংশ।
চিকিৎসকদের মতে, সংক্রমিত হওয়ার দু’সপ্তাহ পরে সাধারণত শরীরে আইজিজি অ্যান্টিবডির সন্ধান মেলে। যার প্রেক্ষিতে কোনও গোষ্ঠী সংক্রমণের শিকার হয়েছিল কি না, সে সম্পর্কে আইজিজি অ্যান্টিবডি টেস্ট ইঙ্গিত করতে পারে। এপিডিমিয়োলজিস্টদের বক্তব্য, কলকাতার জনসংখ্যা আনুমানিক ৫০ লক্ষ। সমীক্ষার ফলাফলের সূত্র ধরে এগোলে শহর কলকাতায় করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা সাত লক্ষের বেশি হওয়া উচিত। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দলুই বলেন, ‘‘নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। সেই নিরিখে সেরো সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এখনও সতর্ক থাকতে হবে। সমীক্ষার আরও একটি দিক হল, উপসর্গহীনের সংখ্যা অনেক বেশি। উপসর্গহীনদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকলে বা না-থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’
শনিবার কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং শিলিগুড়ির জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ডেঙ্গি-কোভিডের জোড়া মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণের উপরে জোর দেন মুখ্যসচিব। জুলাই-অগস্টে রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের একাংশ। সেই সময় ডেঙ্গিরও মরসুম। স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কো-মর্বিডিটির রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গি এবং করোনার যুগলবন্দি মারাত্মক হতে পারে। এখন থেকে পরিকল্পনা করে না এগোলে যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না, সে বিষয়ে পাঁচটি জেলার প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুজিবরের অভিযোগ নিল দল, শো-কজ় সোহরাবকে
শুক্রবারের পরে এ দিনও রাজ্যে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশোর ঘরে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২১ জন। নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। কলকাতায় এ দিন মৃত ছ’জনের মধ্যে এক জন বেহালা দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক রয়েছেন। সংক্রমণ ছড়ানোর খবর মিলেছে পূর্ব রেলের বি আর সিংহ হাসপাতালেও। বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৯ জন রোগীর দেহে সেখানে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তার মধ্যে দু’জনের ডায়ালিসিস চলছিল বলে রেল সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy