প্রতীকী ছবি।
গ্রেফতার করা হল আসাউদ্দিন ওয়াইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম)-এর পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির নেতা জামিরুল হাসানকে। কলকাতায় তাঁর বাড়ি থেকেই সোমবার সকালে জামিরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু জামিরুল নন, হলদিয়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই সংগঠনের অন্য এক রাজ্য স্তরের নেতা আনোয়ার পাশাকেও। এমআইএম নেতৃত্বের দাবি, বর্ধমান এবং বীরভূম থেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মীদের।
রাজ্য জুড়ে এমআইএমের নেতাদের এই ধরপাকড় রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, হিংসার ঘটনা ছড়ানোর পরেই শনিবার ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যে ইঙ্গিতটা ছিল। সোমবার আরও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন জোড়াসাঁকোর মঞ্চ থেকে জানিয়েছেন, তাঁরা হিংসা সমর্থন করেন না। মমতার দাবি, তাঁর কাছে প্রমাণ আছে, কেউ কেউ বিজেপির টাকা খেয়ে এ দিক ও দিক আগুন জ্বালাচ্ছে।
ঠিক একই ভাবে সাম্প্রতিক অতীতে তিনি একাধিক বার এমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে বিজেপির টাকা খাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নবান্নে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, এমআইএমের মতো কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনকে রাজ্যে মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হবে না। প্রকাশ্য সভাতেও তিনি এমআইএমের নাম না করে বলেছিলেন যে, রাজ্য অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে একটি সংগঠন। তাই এমআইএমের রাজ্য স্তরের নেতাদের গ্রেফতারিকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মানতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এমআইএমের তরফে এ দিন জানানো হয়, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন)-র বিরোধিতায় প্রতিবাদ সভা হওয়ার কথা ধর্মতলায়। এমআইএম ছাড়াও পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের ওই জমায়েতে থাকার কথা। সেই জমায়েতের আগেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁদের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিমের পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনের পর্যবেক্ষক আসিম ওয়াকার। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এ সব করছে।”
যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে জামিরুল হাসানকে। গত শুক্রবার পার্কসার্কাসে একটি অবরোধের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ২৮৩, ৩৪১, ৩৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় বেআইনি জমায়েত, রাস্তা অবরোধ, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমআইএমের বুধবারের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা এ ধরনের কোনও কর্মসূচির কথা জানে না। কোনও সংগঠন কর্মসূচির জন্য অনুমতিও চায়নি। সর্বোপরি ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলার ডোরিনা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা রয়েছে। ফলে অন্য কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy