Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Nabanna Abhijan

কলকাতা পুলিশের এসি-কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার! বিজেপির হাতে জখম অন্তত ৩০ পুলিশকর্মী

মঙ্গলবার দুপুর থেকেই নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, মহাত্মা গাঁধী রোডের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে লাঠি, পাথর হাতে ছুটে যান কয়েক জন।

পুলিশ আধিকারিককে এলোপাথাড়ি মারের অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ আধিকারিককে এলোপাথাড়ি মারের অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। —ছবি ভিডিয়ো থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৭
Share: Save:

কলকাতা পুলিশের এসি (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার) পদমর্যাদার এক আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপিকর্মীদের বিরুদ্ধে। মহাত্মা গাঁধী রোডের কাছে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ঘিরে ধরে হামলা চালানো হয়। পুলিশের অভিযোগ, আক্রমণকারীরা বিজেপির কর্মী-সমর্থক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কলকাতা পুলিশের এসি (মধ্য বিভাগ) দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে বড় বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতা পুলিশের দাবি, বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে বাহিনীর অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

জখম দেবজিৎ এর আগে হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, মহাত্মা গাঁধী রোডের পাশে মাথায় হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে লাঠি, পাথর হাতে ছুটে যান কয়েক জন। তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা। তার পর এলোপাথাড়ি মারধর শুরু হয়। কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ওই ঘটনার ভিডিয়ো করেন। ক্যামেরা একটু কাছে নিয়ে যেতেই দেখা যায়, ওই পুলিশকর্মী এসি (সেন্ট্রাল) দেবজিৎ। এর পর তিনি দৌড়নোর চেষ্টা করেন। তাঁর পিছনে ধাওয়া করেন বিজেপির পতাকাধারীরা। ভিডিয়োয় দেখা যায়, এক জন তাঁর কলার চেপে ধরেন। বাকিরা ছুটে এসে তাঁকে রাস্তায় ফেলে লাঠি চালাতে থাকেন। লাথিও মারেন। এর পর ভিড়ের মধ্যে থেকে দুই পুলিশকর্মী নিগ্রহকারীদের হাত থেকে দেবজিৎকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যান।

এলাকার সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা। ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। মহাত্মা গাঁধী রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ। ওই জায়গার কাছেই দেবজিৎকে মারধর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কলকাতা এবং হাওড়ায় মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। তার পরেও এড়ানো যায়নি সংঘর্ষ। মিছিলের আগেই আটক করা হয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। পরে আটক হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাঁতরাগাছিতে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।

পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট পাঠাতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্ব। এদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছেন বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালবীয় দাবি করেন, তৃণমূলের ক্যাডাররাই ভিড়ে মিশে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এ সব হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কুণাল যদিও পাল্টা বলেন, ‘‘নিজেদের কর্মসূচির ব্যর্থতা ঢাকতেই এ সব করেছে তৃণমূল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna Abhijan BJP police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy